• ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকের ফারুক হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লালের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত অক্টোবর ৬, ২০২৪
ছাতকের ফারুক হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লালের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

 

আতিকুর রহমান: ছাতক থেকেঃছাতকের ফারুক হত্যা মামলার আসামী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

ছাতক উপজেলা ও উত্তর খুরমা ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনগনের পৃথক ব্যানারে শনিবার বিকেলে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জালালপুর এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, মৈশাপুর গ্রামের মরহুম ফারুকের ছোট ভাই আকিক মিয়া, প্রবাসী কবির মিয়াসহ আরও অনেকেই। তারা বক্তব্যে বলেন, মৈশাপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার মাস্টারের ছেলে সমাজসেবী ফারুক মিয়াকে উপজেলার উত্তর খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমদের নেতৃত্বে ২০১৮ সালের ২২জুন খুন করে গ্রামের পাশে পাতলাছুরা বিলে লাশ গুম করে রাখে। পরদিন ওই বিল থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে বিল্লাল চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ১০জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে অসহায় হয়ে নিহত ফারুকের স্ত্রী রেহেনা বেগম বাদি হয়ে বিল্লাল চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে সুনামগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা সিলেট পিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে মামলার প্রধান আসামীর নাম বাদ দিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। এর পর বাদি আদালতে নারাজি দিলে ফের মামলাটি তদন্ত ভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। বর্তমানে মামলাটি সিআইডি তদন্তাধিন রয়েছে। বক্তারা বলেন, সিলেটের শাহ পরান (রহঃ) থানায় নাশকতার একটি মামলায় গত ৩ অক্টোবর সিলেটে র‍্যাব-৯ এর হাতে গ্রেফতার হয় চেয়ারম্যান বিল্লাল। ফারুক হত্যা মামলায় তার ফাঁসির দাবি করা হয়। পাশাপাশি তার অনিয়ম-দূর্নীতিসহ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শামছুল ইসলাম খান, আছদ্দর আলী, আব্দুল রহমান, আপ্তাব আলী, ছায়াদ মেম্বার, ফারুক আহমদ, কবির মিয়া, আকবর আলী, আব্দর রহিম, সাহেদ মিয়া, আব্দুল করিম, জমির আলী, সমর আলী, ময়না মিয়া, আলা উদ্দিন, ফজলুর রহমান, উমরিত মিয়া, কাজল মিয়া, গৌছ উদ্দিন, ছায়েম মিয়া, রাজা মিয়া, মামুন মিয়া, সাকিন মিয়া, নাহিদ মিয়া প্রমুখ।