আতিকুর রহমান, ছাতক থেকেঃছাতকে ভাষা সৈনিক মুসলিম চৌধুরী সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করলো প্রবাসীদের অর্থায়নে গ্রামবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের ছৈলা গ্রামে ভাষা সৈনিক মুসলিম চৌধুরীর নামে সড়কটিতে ভিটবালু ও ইটের টুকরো ফেলে চলাচলের উপযোগি করে তুলছেন গ্রামের স্বেচ্ছাসেবীরা।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খানা-খন্দ ও গর্তে ভরা ভাষা সৈনিক মুসলিম চৌধুরীর নামের সড়কটি। উন্নয়ন বঞ্চিত ছৈলা গ্রামের প্রবাসীদের অর্থায়নে এবং ছৈলা-যুব সমাজের ব্যবস্থাপনায় সড়কটি সংস্কারের জন্য ভিট বালু ও ইটের টুকরো ফেলছেন গ্রামের স্বেচ্ছাসেবীরা। জালালপুর- লামারসুলগঞ্জ (মরহুম আবুল খয়ের) সড়কের শরিষপুর পাকা সড়ক থেকে ছৈলা গ্রামের প্রবেশদ্বার প্রর্যন্ত কাজ শুরু হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন, ছৈলা, শরিষপুর, বাগইন, শ্বাসন, কহল্লাসহ ৭টি গ্রামের মানুষ। পাশাপাশি স্কুল কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে আসছেন।
ছৈলাবগ্রামের রজিবুর রহমান, রাহেল আহমদ, নেছার আহমদ, আরাফাত আহমদ রাহাত বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী গ্রাম ছৈলা। এ গ্রামে অনেক গুণীজনের জন্ম হয়েছে। বিশেষ করে ভাষা সৈনিক ও শিক্ষাবিদ মুসলিম চৌধুরী এ গ্রামের সন্তান। তাঁর নামে গ্রামের প্রধান সড়কটির নামকরণ করেছিলেন মুরব্বিরা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটি চলাচলে একদম অনুপযোগি হয়ে পড়লেও কেউ দেখেননি। সম্প্রতি এই গ্রামের সন্তান, সাবেক সচিব মুফাজ চৌধুরীর মাধ্যমে দুই কিলোমিটার পাকা রাস্তার বরাদ্দ হলেও পরবর্তীতে এ আসনের সদ্য সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক এক কিলোমিটার রাস্তা দূর্নীতির মাধ্যমে অন্যত্রে কেটে নেন। অবশেষে চলাচলের অনুপযোগি সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বৃহত্তর ছৈলা গ্রামবাসী। গ্রামের প্রবাসীদের অর্থায়নে ও ছৈলা যুব সমাজের ব্যবস্থাপনায় রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়। সংস্কার কাজে মুরব্বি রফিকুল ইসলাম তসিল, শাহিদ মিয়া সাহেদ ও আফলু মিয়াসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
