• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কলেজ শিক্ষার্থী ও গৃহিনী মিসমা হত‍্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালিত

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৯, ২০২৪
কলেজ শিক্ষার্থী ও গৃহিনী মিসমা হত‍্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালিত

লতিফুর রহমান রাজু. সুনামগঞ্জ:সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ও গৃহিনী মিসমা হত‍্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক অবরোধ করা হয়। সড়ক অবরোধ চলে প্রায় ১ঘণ্টা। পরে সদর মডেল থানার এস. আই সাইফুল ইসলাম সরেজমিন গিয়ে যানজট নিরসন করেন এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব‍্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
শুক্রবার বিকাল ২ টায় সদর উপজেলা কাঠইর রাস্তার মোড়ে এই মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন কাঠইর ইউনিয়নের বাসিন্দাগণ।

গত ১১ মাস আগে সদর উপজেলা কাঠইর ইউনিয়নের কাঠইর গ্রামের  বাসিন্দা মো. সামছু মিয়ার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মিসমাকে বিয়ে দেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্বপাগলা ইউনিয়নের পাগলা কান্দিগাঁও গ্রামে। এরই মধ‍্যে মিসমা অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের চাপ দিতে থাকে স্বামী রফিকুল ইসলাম, শ্বাশুড়ি নুর জাহান বেগম। এক পর্যায়ে ননদ শাহিমা বেগম ও ইভা বেগম এবং দেবর জহিরুল হক মানসিক নির্যাতন চালায়। বাবার পরিবারে এসব ঘটনা না জানিয়ে নিরবে তা সহ‍্য করতে থাকে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বিকালে মিসমা ফোন করে জানায় স্বামীর পরিবারের লোকজন তাকে মেরে ফেলতে পারে। তাই দ্রুত চলে আসার কথা বলে মিসমা বেগম। এরই মধ‍্যে স্বামীর পরিবারের একজন জানায় মিসমা খুবই অসুস্থ।
এই খবর পেয়ে বিকাল ৩টায় কাঠইর গ্রাম থেকে মিসমার পরিবারের লোকজন ছুটে যান কান্দিগাঁও গ্রামে। জানতে পারেন অসুস্থ‍ মিসমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন‍্য সিলেটে। পরে সে মারা যায়। লাশ হয়ে আসা মিসমার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান উপস্থিত স্বজনেরা।

এই ঘটনায় মিসমার পরিবারের লোকজন শান্তিগঞ্জ থানায় মামলা নিয়ে গেলে অফিসার ইনচার্জ মামলা রাখতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে তারা সুনামগঞ্জের আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি শান্তিগঞ্জ পুলিশ।

বক্তারা সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ও গৃহিনী মিসমা মিসমার হত‍্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।

মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব‍্য রাখেন জেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও আব্দুল মতিন, মেয়ের পিতা মো. সামছু মিয়া, ভাই ফারহাজ মিয়া, স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন, মহিম তালুকদার, শুভ্রত তালুকদার সেতু, পিংকু তালুকদার, আব্দুশ শহীদ, জয়নাল হাজারী, জুনেদ মিয়া প্রমূখ।