• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

৫০ উপজেলায় দুগ্ধ উৎপাদন কর্মসূচি

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত এপ্রিল ২০, ২০২২
৫০ উপজেলায় দুগ্ধ উৎপাদন কর্মসূচি

বিবিএন ডেস্ক : দেশের যেসব এলাকায় দুগ্ধ ঘাটতি রয়েছে সেসব এলাকায় উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ৮ বিভাগের ৩৭টি জেলার ৫০টি উপজেলা শনাক্ত করা হয়েছে।

দুগ্ধ উৎপাদন বাড়াতে এসব উপজেলায় নেওয়া হয়েছে ‘দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, সরকার দেশের দুগ্ধ ঘাটতি এলাকায় উন্নত সংকর জাতের গাভী পালনের মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদন বাড়ানো ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে চায়। এছাড়া অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নারীর সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেও ১৫৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সমবায় অধিদফতর।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকের অনুমোদন পেয়েছে প্রকল্পটি।সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২০২৫ সালের ৩০ জুন নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র আরও জানায়, প্রকল্পের আওতায় ৫০টি উপজেলায় প্রতিটিতে ২টি করে ১০০টি উৎপাদনমুখী সমবায় সমিতি গঠন করা হবে।

গাভীর জাত উন্নয়ন ও ১০ হাজার ৬০০টি গাভী স্থায়ী সম্পদ হিসেবে সৃষ্টি করা হবে।

৫ হাজার প্রশিক্ষিত খামারি ও গ্রামীণ উদ্যোক্তাও তৈরি করা হবে। দেওয়া হবে গবাদিপশুর ভ্যাক্সিনেশন ও কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ক সহায়তা।

৫টি বকনা উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন এবং ডাটাবেজ ও এর জন্য ফাইন্যান্সিয়াল সফটওয়্যার তৈরি করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, সরকারের ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি— এডিপিতে প্রকল্পটি বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও আয় সৃজনের লক্ষ্যে গ্রামীণ প্রবৃদ্ধি ও অর্থনীতি বহুমুখীকরণ, আর্থিক সম্পদ সৃষ্টি ও উৎপাদন কার্যক্রমে সমবায়ের কর্মকাণ্ড উৎসাহিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, যার সঙ্গে প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করে পরিকল্পনা কমিশন।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান বাড়বে। অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে এবং পুষ্টিমান উন্নয়ন হবে।