• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাংলাদেশি’গোল্ডেন বেঙ্গল’চা পাতা:প্রতি কেজির মূল্য ১৬ কোটি টাকা

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৫, ২০২২
বাংলাদেশি’গোল্ডেন বেঙ্গল’চা পাতা:প্রতি কেজির মূল্য ১৬ কোটি টাকা

বিবিএন ডেস্ক: প্রতি কেজির মূল্য ১৬ কোটি টাকারও বেশি। ভাবছেন খুব মূল্যবান কোনো রত্ন। ভুল ভাবছেন। কোনো রত্ন নয় গল্প হচ্ছে চায়ের, যে চা সোনার চেয়েও দামি। নাম তার ‘দ্য গোল্ডেন বেঙ্গল’ বা সোনার বাংলা। বিশ্বের সবচেয়ে দামি এ চা তৈরি হয়েছে সিলেটের বাগান থেকে। আর এর কারিগর যুক্তরাজ্যের ‘লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ’। বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রিমিয়াম চায়ের এ প্রতিষ্ঠানই বাজারে আনতে যাচ্ছে সোনার প্রলেপমাখা এ চা। আগামী মে মাসে এ পেয়ালায় ধোঁয়া তুলবে এ চা।

গোল্ডেন বেঙ্গল আসলে এক প্রকার ব্ল্যাক টি। কিন্তু স্বচ্ছ পেয়ালায় ঢাললে এটি সোনার মতো চমকাবে; কারণ এর প্রতি পাতায় ২৪ ক্যারট সোনার প্রলেপ দেওয়া। এই চা প্রস্তুত করার প্রক্রিয়াটিও মোটেও সহজ ছিলো না। এর জন্য সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে ৪ বছর। ৯০০ কেজি উৎপাদিত চা থেকে মাত্র ১ কেজি চা পাতা বাছাই করা হয়।
১০৩ ব্রিক লেনে অবস্থিত লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের রয়েছে ৩শ বছরের ঐতিহ্য। একসময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে সারা বিশ্ব থেকে আসা সেরা চায়ের পাতার নিলাম হত এখানে। বিশ শতকের নব্বইয়ের দশকে এই প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেন চা গবেষক শেখ অলিউর রহমান। পরবর্তীতে তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ। বিশ্বের ৪২টি দেশের বাছাই করা প্রায় ৯০০ ধরনের প্রিমিয়াম চা পাতা পাওয়া যায় এখানে। এর মধ্যে ৩০০ ধরনের চা সাধারণ মানুষের জন্য। বিশ্বের ৭৮টি রাজ পরিবারকে চা পাতা সরবরাহ করে এই প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের পছন্দের চা এখান থেকেই পৌঁছে যায় বাকিংহাম প্যালেসে। এবার বিশ্বের সবচেয়ে দামি চা বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ প্রতি কেজি চায়ের দাম নির্ধারণ করেছে ১৪ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকার হিসেবে যা ১৬ কোটি টাকারও বেশি। আগামী মে মাসে চা-টি বাজারে আনার পরিকল্পনা তাদের।

বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রিমিয়াম চায়ের প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী অলিউর রহমান চায়ের নামকরণের ক্ষেত্রে বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতকে। সেখান থেকেই সোনার বাংলা নামটি তুলে নেওয়া হয়েছে। অলিউর রহমান যেমন তার শেকড়কে ভুলে যাননি, তেমনি ভুলে যাননি সামাজিক দায়বদ্ধতার কথাও। অবহেলিত চা শ্রমিকদের জীবন-মানের উন্নয়নও রয়েছে তার ভাবনায়। তার ভাষ্য, যাঁরা এই চা বাগানগুলিতে কাজ করেন, ঐতিহাসিকভাবে তাদের কাজের পরিবেশই হোক বা জীবনযাত্রা, কোনওটাই অনুকূল নয়, এটা আমরা বদলাতে পারি, পরের বছর আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চলেছি, যাঁরা টি এস্টেটগুলোতে পরিশ্রম করেন, সেই চা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক ৩ গুণ করব, একটা চায়ের প্যাকেট আপনি সুপার মার্কেট থেকে কেনেন, তাতে ২-৩ পেন্স প্রতি প্যাকেটে যুক্ত করলেই এইটা সম্ভব হবে, তবে আমাদের সাপোর্ট দরকার, সরকার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের।