তবে বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে নামতেই বাধা-বিপত্তির মুখে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েন বতমান চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ। এছাড়া এই ইউনিয়নে একই ঘরে একেে-অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় আলাদা আমেজ বিরাজ করছে।
ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাই নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে নির্বাচনের মাঠে পারিবারিক লড়াই অনেকটাই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি ভোটারদের।
জানা গেছে, আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমদ।
তার পরিবারের আরও একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চেয়ারম্যান পদে। মোটরসাইকে্ল প্রতীক নিয়ে তার চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথী হয়েছেন অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন।
এদিকে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) হিসেবে মাঠে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন আনারস প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল ইসলাম খান। একই পদে তিনজন প্রার্থী নিবাচনী মাঠে ভোটযুদ্ধে লড়াই করছেন। একো অপরের বিরুদ্ধে নানা অনিকয়ম দুর্নীতির লুটপাটের অভিাযোগ তোলে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
ভোটাররা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে লড়াইটা হচ্ছে বর্তমান চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুল ইসলাম খানের মধ্যে। তবে একই ঘরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকায় সুবিধা স্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুল ইসলাম খান।
আবার কেউ কেউ বলছেন, নৌকার ঘরে দুইজন প্রার্থী হওয়ার কারণে ভোট কাটার কৌশল হিসেবেও পাল্টে যাবার সম্ভাবনা বেশি বলে ভোটাররা দাবি করছেন।
এদিাকে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল আহমদ দাবি করেন, তিনি সততার কারণেই দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন। এবারো তাকে জনগণ ভোট দিয়েই নির্বাচিত করবেন। তার চাচাতো ভাই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার কারণে নৌকার প্রতীক ভরাডুবির আশঙ্কা রয়েছে বলে ভোটাররা দাবি করেছেন।
তবে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় নেমেই ক্ষমতাসীন দলীয় প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ ভোটারদের বাধার মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনির উদ্দি নের দাবি, মানুষ যাতে স্বাভাবিকভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারেন। সেই সঙ্গে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের প্রবেশ ঠেকানোর দাবিও করেছেন তিনি।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সামছুল ইসলাম খান জানান, ভোট সুষ্ঠু হতে হবে। বহিরাগত কোনো সন্ত্রাসী যেন এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে রিটার্নিং কর্মকতার। মানুষ ১১ নভেম্বর কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলেই আমার বিজয় সুনিশ্চিত হবে।