• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবকের ৪৪ বছরের কারাদণ্ড

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, যুবকের ৪৪ বছরের কারাদণ্ড

বিবিএন ডেস্ক: শেরপুরে কিশোরীকে (১৩) অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে দুটি পৃথক ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম বাবুল মিয়া ওরফে বাবুল কবিরাজ (৩১)। তিনি সদর উপজেলার চরশেরপুর পূর্বপাড়া গ্রামের তৈমদ্দিনের ছেলে।

শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. আখতারুজ্জামান গতকাল রোববার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন। আসামি বাবুল জেলা কারাগারে আটক ছিলেন।

কিশোরীকে অপহরণের দায়ে আদালত আসামি বাবুল মিয়াকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। ধর্ষণের দায়ে তাঁকে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। উভয় সাজা একসঙ্গে চলমান থাকবে।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. গোলাম কিবরিয়া এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল বাবুল সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৩) অপহরণ করেন। ধর্ষণের ঘটনায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে বাবুল মিয়ার নামে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে ওই কিশোরী কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়, ওই মেয়ের বাবা বাবুল। পরে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ২০১৮ সালের ১২ নভেম্বর বাবুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

আদালত গতকাল রায় দেন। পাশাপাশি জন্ম নেওয়া কন্যাসন্তানের ভরণপোষণের জন্য বাবুলের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে অর্থ জোগানের আদেশ দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গোলাম কিবরিয়া রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. সাখাওয়াতউল্লাহ বলেন, রায়ে যথেষ্ট অসংগতি রয়েছে। তাঁরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।