• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আকবর কে গ্রেফতারের দাবী পুলিশের হলে ও জনতার দাবী খাসিয়ারা আটক করেছে

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত নভেম্বর ৯, ২০২০
আকবর কে গ্রেফতারের দাবী পুলিশের হলে ও জনতার দাবী খাসিয়ারা আটক করেছে

বিবি এন নিউজ সিলেটঃ  সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ রায়হান আহমদ নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের বহিস্কৃত উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেন ভূইয়া ধরা পড়েছেন। রায়হান হত্যার প্রায় একমাস পর আকবরকে ধরতে পারায় জনমনে স্বস্তি থাকলেও তাকে আটকের প্রক্রিয়া ও নানা দাবি নিয়ে দেখা দিয়েছে রহস্য।

সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন দাবি করেছেন, ভারতে পালানোর সময় সোমবার সকালে কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।তবে বিজিবি ও পিবিআই’র দাবি, আকবরকে ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে স্থানীয় খাসিরারা আটক করে। এরপর কানাইঘাট এলাকার এক ব্যক্তি তাকে দেশে নিয়ে এসে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

বিজিবি ও পিবিআইর বক্তব্যের সত্যতা মিলেছে আকবরকে আটকের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওচিত্রে। ভিডিওতে দেখা যায়, কিছু যুবক আকবরের হাত পা বেঁধে পাহাড়ি ছড়া দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে আসছেন। এসময় ওই যুবকরা আকবরকে বিভিন্ন প্রশ্নও করেনওই যুবকরা বাংলায় কথা বললেও তাদের শারিরীক গঠন ও কণ্ঠস্বর ছিলো অবাঙালিদের মতো।কানাইঘাট এলাকার স্থানীয় অনন্ত পাঁচজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ভিডিওতে যে যুবকদের দেখা গেছে তারা খাসিয়া সম্প্রদায়ের এবং যে জায়গার ছবি দেখা গেছে তা ভারতের অভ্যন্তরের।

আকবরকে আটক করা ওই যুবকদের এক প্রশ্নের জবাবে আকবর নিজেও বলেছেন ঊর্ধ্বতনদের পরামর্শে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন।

বিজিবি’র ১৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ হোসেন বলেন, ‘আকবরকে ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে খাসিয়ারা আটক করেন। পরে তারা সীমান্ত এলাকার রহিম উদ্দিন নামের এক বাসিন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করে সীমান্তেই আকবরকে তার হাতে তুলে দেন। আব্দুর রহিমই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে আকবরকে পুলিশে হস্তান্তর করে।’

তিনি বলেন, ‘এটি সীমান্তের একটু দুর্গম এলাকা। আর বিএসএফ বা আমরা বিষয়টি জানার আগে স্থানীয়রাই হস্তান্তর করে ফেলেছেন।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রহিম উদ্দিন লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির ডোনা সীমান্ত এলাকার মৃত তরফ আলীর পুত্র। আকবরকে কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে দেশে নিয়ে আসেন তিনি।

পিবিআই সিলেটের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান বলেন, ‘আকবরকে ভারতের অভ্যন্তরের খাসিয়াপল্লির স্থানীয়রা আটক করে পরে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে, কীভাবে হস্তান্তর হয়েছে তা এখনো জানি না।’

আকবরকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।