• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

অবশেষে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়লো ফরিদপুরের সেই কুমির

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত আগস্ট ১১, ২০২১
অবশেষে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়লো ফরিদপুরের সেই কুমির

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর: অবশেষে ফরিদপুর সদর উপজেলার জলাধারে আটকে পড়া সেই মিঠা পানির কুমিরটি ১৭ দিন পরে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েছে।

আজ সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকায় জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দারা সকাল থেকে চেষ্টার পর কুমিরটি আটক করে। ধরা পড়া কুমিরটি এক নজর দেখতে ভিড় জমান আশপাঁশের কয়েকশ লোক। এর আগে কুমিরটি উদ্ধারে বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ দুই দফা অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়।

কুমির ধরায় অংশ নেয়া ওই গ্রামের মোহন মিয়ার পুরাতন হাটের ব্যবসায়ী মো. মিলন মোল্লা বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়ায় কুমিরটি জলাধার থেকে পাড়ে উঠে আসে। ওই সময় বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী সবাই মিলে মাছ ধরার বড় জাল দিয়ে কুমিরটিকে আটক করি।

নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আটকের বিষয়টি বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় কর্মকর্তা নির্মল কুমার পালকে জানানো হয়। কুমিরটি হেফাজতে নেয়ার জন্য ফরিদপুরের উদ্দেশে তারা রওনা দিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, ২৪ জুলাই সকালে ওই জলাধারে একটি কুমির দেখতে পান ওই এলাকার বাসিন্দারা। এরপর ওই এলাকায় মাইকিং করে ওই জলাধারে না নামার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ওই জলাধারের পাড়ে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টানানো হয়। জলাধারটি এলাকাবাসীর কাছে ফালুর খাল হিসেবে পরিচিত।

কুমিরটি উদ্ধারের জন্য গত ২৮ ও ৩০ জুলাই বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের উদ্যোগে দুই দফা অভিযান পরিচালিত হয়। কিন্তু প্রথম দফায় জাল ছোট থাকায় এবং দ্বিতীয়বার কুমিরটি জালে আটকা পড়লেও জাল ছিঁড়ে বের হওয়ায় সেটি আর ধরা সম্ভব হয়নি।