• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

এ বছর ইউটিউবে সর্বোচ্চ উপার্জনকারী ৯ বছরের রায়ান কাজি

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৬, ২০২০
এ বছর ইউটিউবে সর্বোচ্চ উপার্জনকারী ৯ বছরের রায়ান কাজি

রায়ান কাজি

সানজানা ফারিহা:মাত্র ৯ বছর বয়স যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বাসিন্দা রায়ান কাজির। এই বয়সেই টানা ৩ বছর সর্বোচ্চ উপার্জনকারী ইউটিউবার হলো রায়ান।

‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত ২০২০ সালের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী ইউটিউবারদের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে রায়ান। ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী ২০১৮ সালেও ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি আয় করা তারকার তালিকায় নাম ছিল রায়ানের। সারা বিশ্বেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এই শিশু।

খেলনার রিভিউ জানানোর পাশাপাশি, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রমোশন করে সে তার ইউটিউব চ্যানেলে। সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ডের খেলনা এবং ভিডিও গেমের রিভিউ দিয়ে এই প্রমোশন করে রায়ান।

 

এ বছর ইউটিউব থেকে ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে রায়ান। এছাড়াও আরো আয় আছে রায়ানের। নিজস্ব ব্র্যান্ডের খেলনা ও পোশাক এবং ‘মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার’ ব্র্যান্ডের পায়জামা থেকে রায়ানের আয় আনুমানিক ২০০ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া টেলিভিশন চ্যানেল নিকিলোডিওন তার সঙ্গে কয়েক মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। সেখানেও তাকে দেখা যাবে।

 

ছোটবেলায় শিশুদের খেলনার ভিডিও দেখে রায়ান তার মাকে বলতো, আমি কেন ইউটিউবে নেই, অন্য সব শিশুরাই তো আছে? এরপরই তিন বছর বয়সে (২০১৫) রায়ানের মা–বাবা ইউটিউবে ‘রায়ানস টয়েস রিভিউ’ নামের একটি চ্যানেল খুলে দেন। পরে অবশ্য চ্যানেলটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘রায়ানস ওয়ার্ল্ড’।

 

খুদে রায়ানের সঙ্গে এই কাজে তাকে সাহায্য করেন তার মা লোয়ান কাজি, বাবা শিওন কাজি এবং যমজ বোন ইম্মা ও ক্যাট। পেশায় শিক্ষিকা ছিলেন লোয়ান কাজি। শুধুমাত্র এই ইউটিউব চ্যানেলে সময় দেয়ার জন্য তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।

 

এখন পর্যন্ত এই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা চার কোটি পেরিয়ে গেছে। ইউটিউবে সবাই তাকে প্রভাবশালী শিশু বলেই ডাকে।

 

এদিকে এ বছরের সবচেয়ে আয় করা সেরা ১০ ইউটিউবারের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। রায়ানের পর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২২ বছর বয়সী ইউটিউবার জিমি ডোনাল্ডসন। ‘মি. বিস্ট’ নামের ইউটিউব চ্যানেল থেকে এ বছর তিনি আয় করেছেন ২৪ মিলিয়ন ডলার। তৃতীয় স্থানে থাকা ‘ডুড পারফেক্টের’ আয় ২৩ মিলিয়ন ডলার।