• ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

স্ত্রী-সন্তানকে না পেয়ে আদালত চত্বরেই আত্মহত্যা

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
স্ত্রী-সন্তানকে না পেয়ে আদালত চত্বরেই আত্মহত্যা

হবিগন্জ প্রতিনিধিঃ স্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী নির্দেশ দেয় আদালত। আর এই নির্দেশে স্ত্রী সন্তানকে না পেয়ে কোর্ট প্রাঙ্গণেই নিজের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন এক যুবক।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় হবিগঞ্জ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাছে। নিহতের নাম হাফিজুর রহমান (৩২)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, হাফিজুরের দায়ের করা ফৌজদারি কার্যবিধি ১০০ ধারার মামলায় শিশু সন্তান আরফিনকে কোলে নিয়ে বুশরা, তার মা ও তিন বোন কোর্টে হাজিরা দিতে আসেন। আদালতে বুশরা তার জবানবন্দিতে স্বামীর পরিবর্তে মায়ের সঙ্গে যেতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

তার ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আমিন পাপ্পা ভিকটিম বুশরাকে মায়ের সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দেন। এই আদেশ শুনে বাদী হাফিজুর ভেঙ্গে পড়েন। তিনি এজলাস কক্ষ থেকে বেরিয়ে তার শিশু সন্তান আরফিনকে কোলে নিতে চান। কিন্তু স্ত্রী তাতে রাজি হননি। এসময় হাফিজুর সন্তানকে কোলে না পেলে মরে যাবেন বলে চিৎকার করতে থাকেন।

কিন্তু বুশরা এতে সাড়া না দেওয়ায় জনসম্মুখেই হাফিজুর একটি ছুরি বের করে নিজের বুকের বাম দিকে উপুর্যপরি আঘাত করেন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই সহিদুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি জিডি হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ শহরের সুলতান মাহমুদপুর এলাকার ডেকোরেটার্সের কর্মচারী হাফিজুর গত ২০১৮ সালে বানিয়াচঙ্গ উপজেলার কুর্শি খাগাউড়া গ্রামে বুশরা বেগমকে (২৭) বিয়ে করেন। মিনহাজুর রহমান আরফিন নামে তাদের ৮ মাসের একপুত্র সন্তান রয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে বুশরা তার সন্তানকে নিয়ে পিত্রালয়ে যান।

এরপর তিনি স্বামীর বাড়িতে ফিরে না আসায় গত ১৫ অক্টোবর হাফিজুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন যে, তার শাশুড়ি ও শ্যালিকাগণ তাকে স্থায়ীভাবে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করার জন্য চাপ দেন। এতে তিনি রাজি না হলে বুশরা ও তার সন্তানকে আটকিয়ে রাখা হয়।

এমতাবস্থায় স্ত্রী ও সন্তানকে উদ্ধারের জন্য তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। আত্মহননকারি হাফিজুর ওই এলাকার মো. নূর মিয়ার ২ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে সবার বড়। ছেলেকে হারিয়ে পরিবারে মতম চলছে। সুত্র ইত্তেফাক