বিবিএন ডেস্ক: বগুড়ায় সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। অসহায় চাকরিপ্রার্থীদের কাছে অন্তত ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাতে দুপচাঁচিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, সিডি, পেনড্রাইভ, হার্ডডিক্স, সিমকার্ডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানির সদস্যরা। তাদের বিরুদ্ধে দুপচাঁচিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গ্রেফতার প্রতারকরা হলেন— বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার স্বর্গপুর হাজিপাড়ার মুনসুর আলী মণ্ডলের ছেলে মেহেরুল ইসলাম (৩৩) ও একই উপজেলার রেল কলোনি তালোড়া বাজার এলাকার মনোয়ারুল হকের ছেলে কামরুল হাসান (২৯)।
র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল হাসান গণি রোববার দুপুরে বগুড়া স্পেশাল কোম্পানিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। সেখানে তিনি জানান, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় একটি প্রতারক চক্র সরকারি বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থায় চাকরি দেওয়ার নামে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ৮০-৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সংস্থা ও বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা সেজে মোবাইল ফোনে কথা বলে ও চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ভুয়া নিয়োগ এসএমএস পাঠাতেন। এর বিপরীতে তারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের কাছে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিত। পরে চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তাদের নানান হুমকিও দিত তারা।
টাকা দিয়ে চাকরি না পাওয়ায় একাধিক ভুক্তভোগী র্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানিতে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে র্যাব সদস্যরা বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে তাদের কাছে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি ল্যাপটপ, ১৮টি মোবাইল ফোন, ১৫টি সিডি, একটি পিসি, ৫৮টি সিমকার্ড, সাতটি পেনড্রাইভ, দুটি হার্ডডিক্স জব্দ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে এরা সরকারি বিভিন্ন সংস্থা/প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তাদের বিরুদ্ধে এক ভুক্তভোগী দুপচাঁচিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।