• ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৯ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান ডা.রায়ানের করোনার ওষুধ আবিস্কার

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুলাই ১৭, ২০২১
বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান ডা.রায়ানের করোনার ওষুধ আবিস্কার

 

বিবিএন ডেস্ক: করোনা চিকিৎসার জন্য টিভিজিএন-৪৮৯ এবং সাইটোটক্সিক টি লিম্ফোসাইটস ওষুধ আবিস্কার করেছেন আমেরিকান বাংলাদেশি চিকিৎসক ড. রায়ান সাদী। সাদীর এই ওষুধ মানব দেহের জন্য নিরাপদ কি না, তা যাচাইয়ের জন্য অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন ফেডারেল ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)।

নিউজার্সির বায়ো-টেকনোলজি কোম্পানী টেভোজেন বায়োর প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা এবং এই ওষুধ আবিস্কারের গবেষণা দলের প্রধান ড. রায়ানের এই আবিস্কার আমেরিকার বাঙ্গালি কমিউনিটিসহ বিশ্বব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

করোনার টিকা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কিন্তু করোনা ভাইরাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে পারেনা। কিন্তু ড. রায়ানের এই ওষুধ মানদেহে করোনা আক্রান্ত বা সংক্রমিত সেলকে নির্মূল করবে বলে দাবি করেছে টেভোজেন বায়ো টেকনোলজি। এর আগে ক্যান্সার চিকিৎসার সবচেয়ে কার্যকর ওষুধের ওপর গবেষণা করছিলেন রায়ান সাদী। গবেষণার মাঝেই করোনা প্রকোপ শুরু হলে সেই গবেষণাকে করোনা ভাইরাস নির্মূূলকারি ওষুধের দিকে ধাবিত করেন তিনি। গত বছরের অক্টবরে তার গবেষণা শেষ হলে এফডির কাছে অনুমোদনের আবেদন করেন।

প্রচলিত রীতি অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ শেষে এটি করোনা নির্মুলে ভূমিকা রাখবে কি না তা যাচাইয়ের জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাঠিয়েছে এফডিএ। সেই অনুযায়ী ১২ জুলাই টেভোজেন-বায়ো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের। এই ট্রায়ালের মাধ্যমে টিভিজিএন-৪৮৯ মানবদেহের জন্যে কতটা নিরাপদ তা নিশ্চিত হতে চায় এফডিএ। আবিষ্কৃত ওষুধ টিভিজিএন-৪৮৯ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানী সাদী বলেন, এটি ভাইরাসের গতি-বিধি চিহ্নিত করতে পারে এবং তা মেরে ফেলে সুস্থ মানুষের কোষের ন্যায় অর্থাৎ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নতুন কোষ সৃষ্টিতে সক্ষম হবে। ইতিমধ্যেই পরিচালিত পর্যবেক্ষণ জরিপে (প্রি-ক্লিনিক্যাল) আমরা তা নিশ্চিত হয়েছি।

ওষুধটির বিষয়ে ড. রায়ান সাদী বলেন, করোনা প্রতিনিয়ত ধরন পাল্টাচ্ছে এবং ভয়ংকর রুপে আবির্ভূত হচ্ছে। সেদিকে খেয়াল রেখে এই ওষুধ তৈরী করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্যে এফডিএ থেকে অতিদ্রুত ছাড়পত্র পাওয়ায় আমি এবং আমার সহকর্মীরা খুবই সন্তুষ্ট। কারণ সারস-সিওভি-২’র সংক্রমণ রোধে সক্ষম কোষগুলিকে আরো শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এই সেল-থেরাপি অপরিসীম ভূমিকা রাখবে। সেল থেরাপির মাধ্যমে মহামারি দেখা দেয়া অঞ্চলেও এই ওষুধের সুফল পাবেন আক্রান্তরা। এখন চিকিৎসা-ব্যবস্থায় নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাও দূর করতে ভূমিকা রাখবে এই ওষুধ।(শীর্ষবিন্দু)