• ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

পবিত্র কা’বার দরজার নকশাকার ইঞ্জিনিয়ার মুনির আল জুনদির ইন্তেকাল

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২০, ২০২০
পবিত্র কা’বার দরজার নকশাকার ইঞ্জিনিয়ার মুনির আল জুনদির ইন্তেকাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পবিত্র কাবা ঘরে স্থাপিত দরজার নকশাকার প্রকৌশলি মুনির আল জুনদি আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল শনিবার জার্মানের একটি হাসাপতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খবর গলফ টুডের।

জানা গেছে, ১৩৯৭ হিজরি (১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে) সৌদির তৎকালীন বাদশাহ খালেদ বিন আবদুল আজিজ খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে পবিত্র কাবা ঘরের একটি দরজা নির্মাণ করতে বলেন। সেই দরজা নকশার জন্য প্রকৌশলি মুনির আল জুনদিকে নির্বাচন করা হয়।

সৌদির ইতিহাস বিশেষজ্ঞ মানসুর আল আসসাফ এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘সৌদি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ পবিত্র কাবার দরজা নির্মাণের দায়িত্ব মক্কার আলে বদর পরিবারের ওপর অর্পণ করেন। প্রায় দেড় বছরের মধ্যে দরজার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।’

‘অতঃপর ১৩৯৮ হিজরিতে বাদশাহ খালেদ বিন আবদুল আজিজ আহমদ বিন বদরকে খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে পুনরায় দরজা নির্মাণ করতে বলেন। ওই সময় তা প্রকৌশলি মুনির নকশা করেন। দরজার দৈর্ঘ তিন মিটার ও প্রস্থ দুই মিটার। এবং পুরত্ব প্রায় অর্ধ মিটার। থাইল্যান্ডে উৎপাদিত ম্যাকা কাঠ দিয়ে দরজাটি তৈরি করা হয়। তা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কাঠ বলে স্বীকৃত’ বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, প্রকৌশলি মুনির আল জুনদি সিরিয়ার হেমস শহরে জন্মগ্রহণ করেন। নকশাকার হিসেবে পবিত্র কাবার দরজার ওপর তার নাম লেখা আছে। সিদ্ধান্ত মতে দরজার নকশাটি জার্মানে প্রস্তুত করা হয়। তবে সৌদি সরকারের নির্দেশনা মতে নকশার কাজ অবশ্যই কোনো মুসলিম প্রকৌশলিকে করতে হবে, যেন তার নাম দরজা লিখে রাখা যায়। অবশেষে প্রকৌশলি মুনির কাবার দরজা নকশা করার মহান দায়িত্ব পান। অতঃপর দরজা নকশার কাজে মক্কার ঐতিহ্যবাহী স্বর্ণাকার মাহমুদ বদরের কারখানায় কাজ শুরু হয়।