সৌরভ সিলেটের টুকেরবাজার এলাকার পীরপুর গ্রামের সন্তোষ ঘোষের ছেলে। সে নিজেকে ছাত্রলীগ কর্মী বলে দাবি করেছে।
এ ঘটনায় সৌরভ ও তার সহযোগী বাদল চৌধুরীকে ২৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর ট্রাফিক সার্জেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন।
এ ঘটনায় ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা (নং-৩৪) দায়ের করছেন। বিষয়টি শনিবার সন্ধ্যায় সিলেটভিউ-কে নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং চারদিকের সড়কেই গাড়ির লম্বা লাইন লেগে যায়। এসময় ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন দুদিকের গাড়ি বন্ধ করে দুদিকের গাড়ি ছাড়েন। কিন্তু ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভ সার্জেন্টের সিগন্যাল অমান্য করে মোটরসাইকেল নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে জসিম উদ্দিন বাঁধা দেন। এসময় সৌরভ উত্তেজিত হয়ে ‘আমি ছাত্রলীগ করি। ফোন দিলে তর অবস্থা বেহাল হবে’ এ কথা বলে ট্রাফিক সার্জেন্টের দিকে তেড়ে গিয়ে মারধর শুরু করেন। এতে ট্রাফিক সার্জেন্ট জসিম বেশ আহত হন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ দ্রুত চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সৌরভ ও বাদলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং ট্রাফিক সার্জেন্ট জসিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ বলেন, ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দানকারী সৌরভ নামের এক যুবক ট্রাফিক সার্জেন্ট জসিমকে বেধড়ক মারধর করেছে। পরে সৌরভ ও তার সঙ্গীয় বাদলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করছেন। আগামীকাল (রোববার) তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।