নিজস্ব প্রতিবেদক:আবারো মনোনয়ন বঞ্চিত হলেন শামীম আহমদ চৌধুরী। অনেক চেষ্টা তদবির করেও দলীয় মনোনয়ন ভাগাতে পারেননি।দীর্ঘদিন মাঠে থেকে প্রচারণা ও গণসংযোগ করেও দলীয় সভানেত্রীর শেখ হাসিনার মন গলাতে পারেননি।সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীর তথ্যের উপর নির্ভয় করেই দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন চুড়ান্ত করেন্মছেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা।ছয়মাস পর পর তৈরি করা গোয়েন্দা প্রতিবেদনে শামীম আহমদ চৌধুরীর সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী হওয়ার অযোগ্যতাই স্থান পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।যে সব কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন শামীম আহমদ চৌধুরী। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে,রহস্যজনক কারণে টানা তিনবারের নির্বাচিত ছাতক পৌর সভার চেয়ারম্যান বড়ভাই আবুল কালাম চৌধুরীকে বাদ দিয়ে নিজের মনোনয়ন ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা।দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে,সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজয় বরণ করা।তৃতীয় কারণ হচ্ছে,দলীয় কোন্দলের কারণে নিজের গ্রুপের দুই উপগ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে ভ্যান চালক নিহত।সেই মামলায় জেল হাজত খাটা।চতুর্থ কারণ হচ্ছে,সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ নেতা নেতাকর্মীদের হয়রানি করা।পঞ্চম কারণ হচ্ছে,পর পর দুইবার জেলা কমিটিতে দলীয় শীর্ষপদ পেয়ে পুরস্কৃত হওয়া।এছাড়া সরকারের চলমান উন্নয়ন কাজকে অস্বীকার করে অপপ্রচার চালানো সহ আরো অনেক অভিযোগ স্থান পেয়েছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে,শামীম আহমদ চৌধুরী বিকল্প প্রাথী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন।গ্রুপের নেতাকর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রাথী হিসাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলে অবাক হওয়ার কিছুই নাই।
