• ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ভেঙে গেল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো-সোফিরার সোনার সংসার

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত আগস্ট ৩, ২০২৩
ভেঙে গেল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো-সোফিরার সোনার সংসার

বিবিএন ডেস্ক:জাস্টিন ট্রুডো বেশ জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব নেতাদের মধ্যে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা নিজ দেশের বাইরেও বেশ পরিচিত। শান্ত স্বভাবের মানুষ জাস্টিন ট্রুডো। আর তার স্ত্রীও বেশ সাংসারিক। সব সময় মিডিয়ার সামনে দুজন একসঙ্গে আসেন। এই তো সেদিনও তাদের বিয়ে বার্ষিকীতে ট্রুডো তার স্ত্রীর সঙ্গে হাত ধরার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘এই ভ্রমণের প্রতিটি মাইল একসাথে পার করা সত্যিই একটি দুঃসাহসিক কাজ। আমি তোমাকে ভালোবাসি, সোফ। শুভ বিবাহ বার্ষিকী!’ তাদের সংসারকে অনেকেই বলতেন সোনার সংসার। কিন্তু সেই সোনার সংসার হঠাৎ ভেঙে গেলো।

জানা যায়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার ট্রুডো বুধবার ঘোষণা করেছেন, ১৮ বছরের বিয়ের পর তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দুজনেই তাদের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা বিবৃতিতে বলেছেন, তারা ‘অনেক অর্থবহ এবং কঠিন কথোপকথনের পর’ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা উভয়েই আইনিভাবে একটি বিচ্ছেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।

কানাডার অন্যতম বিখ্যাত রাজনীতিবিদ পরিবারে জন্ম ট্রুডোর। ৫১ বছর বয়সি ট্রুডো ২০১৫ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তার স্ত্রী সোফি ট্রুডো একজন সাবেক মডেল এবং টিভি হোস্ট। ২০০৫ সালে বিয়ে করেন এই দম্পতি। একসঙ্গে, তারা প্রধানমন্ত্রীর অফিসে তারকা দ্যুতি নিয়ে আসেন এবং বিখ্যাত ভোগ ম্যাগাজিন তাদের নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে, ১৫ বছর বয়সী জেভিয়ার, ১৪ বছর বয়সী এলা-গ্রেস এবং ৯ বছর বয়সী হ্যাড্রিয়েন।

ইনস্টাগ্রামে দু’জনই বলেছেন, ‘সর্বদা যেমনটা ছিলাম, একে অপরের প্রতি গভীর ভালবাসা এবং শ্রদ্ধার সাথে বাকী জীবনেও আমরা ঠিক তেমনি থাকবো। আমরা একসাথে যা কিছু অর্জন করেছি, তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’

বিষয়টির সাথে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বাচ্চাদের নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী অটোয়াতে রিডো কটেজে থাকবেন, যেখানে তিনি ২০১৫ সাল থেকে বসবাস করছেন। আর সোফি এরই মধ্যে অটোয়াতে চলে গেছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সোফিকে প্রকাশ্যে খুব একটা দেখা যায়নি, এমনকি সরকারি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সাথে তিনি খুব কমই ভ্রমণ করেছেন। গত মাসে অটোয়াতে কানাডা দিবসের এক অনুষ্ঠানে দুজনকে সর্বশেষ একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল।

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অফিস তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অনুরোধ করেছে।

জাস্টিন ট্রুডো এবং সোফি গ্রেগোয়ার দেখা হয়েছিল খুব ছোটবেলায়, যখন তিনি তার কনিষ্ঠ ভাই মিশেলের সহপাঠী ছিলেন। অনেক বছর পর, ২০০৩ সালের একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে তাদের আবার দেখা হয়, ওই অনুষ্ঠানটি তারা এক সাথে উপস্থাপনা করছিলেন। ২০০৫ সালের মে মাসের শেষে বিয়ে করেন জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি।

ট্রুডো দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন।

মাত্র কয়েক মাস আগে ট্রুডো তাদের বিবাহ বার্ষিকীতে তার স্ত্রীর সাথে হাত ধরার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘এই ভ্রমণের প্রতিটি মাইল একসাথে পার করা সত্যিই একটি দুঃসাহসিক কাজ। আমি তোমাকে ভালোবাসি, সোফ। শুভ বিবাহ বার্ষিকী!’