• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

হবিগঞ্জে ছাত্রীকে নাকে খত দিয়ে পায়ে সেজদা করানোর অভিযোগে শিক্ষিকা বরখাস্ত:তদন্ত কমিটি গঠন

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত আগস্ট ১, ২০২২
হবিগঞ্জে ছাত্রীকে নাকে খত দিয়ে পায়ে সেজদা করানোর অভিযোগে শিক্ষিকা বরখাস্ত:তদন্ত কমিটি গঠন

বিবিএন ডেস্কঃস্কুলড্রেস ছাড়া বোরকা পরে স্কুলে যাওয়ায় হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে মৌসুমী রায় নামে এক শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ছাত্রীটিকে এমন শাস্তি দেয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে প্রশাসন। গতকাল রোববার (৩১ জুলাই) রাতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,বোরকা পড়ে স্কুলে আসায় হবিগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী সাদিয়া আক্তার কে ঐ স্কুলের শিক্ষিকা মৌসুমি রায় উনার পায়ের কাছে সেজদা দিয়ে নাকে খত দিতে বলেন। কিন্তু সাদিয়া শিক্ষিকা মৌসুমি রায় কে কেঁদে কেঁদে অন্য শাস্তি দেওয়ার কথা বললেও তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আমি যা বলেছি তাই তোমাকে করতে হবে।এক পর্যায়ে ঐ শিক্ষার্থীকে তাই করতে বাধ্য করেন এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীকে এব্যাপারে কোন রকম উস্কানি দিলে টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া আক্তারকে লাঞ্ছিত করার সংবাদটি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে প্রধান শিক্ষিকাকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। এর প্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার শহরের মাহমুদাবাদ এলাকার ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার নির্দিষ্ট স্কুল ড্রেসছাড়া বোরকা পরে শ্রেণি কক্ষে যায়। তখন সহকারী শিক্ষিকা মৌসুমী রায় মেয়েটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত শাস্তি দেন। পরে শনিবার মেয়েটির পরিবার বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি জরুরি সভা ডেকে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। পরে গতকাল তাকে বরখাস্ত করা হয়। শিক্ষিকা মৌসুমী রায় খন্ডকালীন শিক্ষকতা করতেন বলে জানা গেছে।

এদিকে এ ঘটনায় গতকাল শহরজুড়ে আলোচনার ঝড় উঠে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন স্কুলের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।