• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শামীম ওসমানের পায়ে তৈমুর হাঁটে না’

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
শামীম ওসমানের পায়ে তৈমুর হাঁটে না’

 

বিবিএন ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পরোয়া করি না। আমাকে শামীম ওসমান, পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধ করেই নারায়ণগঞ্জ শহরে হাঁটতে হয়েছে। আমি মানুষের ভালোবাসায় প্রার্থী হয়েছি। শামীম ওসমানের পায়ে আমি হাঁটি না নারায়ণগঞ্জ শহরে।

মঙ্গলবার মেয়র পদে হাতি প্রতীক পাওয়ার পর গণমাধ্যমের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।

অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, এ নির্বাচন জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের নির্বাচন, ১৮ বছরের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত সিটি করপোরেশনকে মুক্ত করার নির্বাচন। আমি নির্বাচিত হলে নাসিক ভবন হবে জনগণের ভবন, সিটি করপোরেশন হবে সেবামূলক করপোরেশন। যেখানে গরিবের মাথার ছাদ কেড়ে নিয়ে ধনীদের জন্য ফ্ল্যাট বানানো হবে না, সেবা না দিয়ে ট্যাক্স বাড়িয়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্তকে শোষণ করা হবে না।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, হাতি উঠলে কিন্তু নৌকা ডুবে যায়। অনেকে প্রশ্ন করেন- কেন আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। আমি জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতি করলেও নারায়ণগঞ্জের জনগণের চাহিদা ও তাদের আকাঙ্ক্ষার ব্যাপারে আমাকে সচেতন থাকতে হয়। জনগণের প্রয়োজনেই আমাকে এখানে নির্বাচনে দাঁড়াতে হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের সব সিটি করপোরেশনের চেয়ে নাসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স সবচেয়ে বেশি। এখানে নাগরিক সুবিধা কম। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ২২ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স নেয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম নেয় ১৪ শতাংশ। আমি জনগণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন করছি। জনগণ আমার সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর আমি আস্থা রাখতে চাই, কিন্তু আস্থা রাখতে পারছি না। গত ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতীক, প্রার্থীসহ সমাবেশ করেছেন। আমরা ১৬ ডিসেম্বর ২০ হাজার লোকের সমাবেশ ঘটিয়েছি নারায়ণগঞ্জ শহরে, ইসির অনুরোধে আমি সেখানে যাইনি। আমি আইন মেনে চলেছি কিন্তু সরকার দলের প্রার্থী আইন মানছেন না।

তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, এর আগে আমি একটি দল থেকে নির্বাচন করছিলাম। তাই আমাকে বসে যেতে হয়েছে। এবার আমি জনগণের প্রার্থী।