নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সহকারী শিক্ষক কবির আহমদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরমুজ আলীর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। সর্বদলীয় প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য ফোরামের ছাতকের উদ্যোগে রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক আশিকুর রহমান, মোনায়েম খাঁন, মাওলানা ফিরোজ আহমদ,
গোবিন্দ মোহন সরকার, জয়নাল আবেদীন, হেলালুল ইসলাম, মাওলানা শামছুল ইসলাম, চন্দ্রন পাল, মোস্তাক আহমদ, মমিনুর রহমান, নিত্য রঞ্জন দাস, শামছুন নাহার ডলি, নুরুল ইসলাম, মানিক মিয়া, মুজিবুর রহমান, আবুল খয়ের মো. ইকবাল, গোলাম মওলা, আবু সাঈদ মাহমুদ, বাবুলাল শর্মা, মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা সালেহ আহমদ কবির, ভাসবী চৌধুরি লিলি, সুলতানা জাহান, জুলহাস উদ্দিন, হুশমত আলী, দুলন কুমার তরফদার, প্রনব দাস মিন্টু, মাওলানা ইমাদ উদ্দিন মানিক, মোহাম্মদ জাকারিয়া, নুর মিয়া, মাওলানা আমিরুল ইসলাম, পরশ দাশ, কামরুজ্জামান, ফয়সল আহমদ, আনোয়ার হোসেন, রুহুল ইসলাম পলাশ, নিজাম উদ্দিন, কবির আহমদ, বসু মালাকার, আবু সালেহ নোমান, রেজ্জাদ আহমদ, রাজন কুমার চক্রবর্তী, ফয়ছল আহমদ, এএসএম ইমলাম উদ্দিন, মুহাম্মদ রুহুল আমিন প্রমূখ। শিক্ষকদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে প্রথমেই বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম মিঞা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শুভাষ চক্রবর্তী।
বক্তারা বলেন, কবির আহমদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও মূল আসামীরা এখনও পুলিশের ধরা-ছোয়ার বাহিরে রয়েছে। এদিকে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্ষেতের জমি থেকে ঘাস কাটার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন জাউয়াবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হরমুজ আলীর উপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। পৃথক দুটি ঘটনা তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মায়েরকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দুই জনের ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত হন শিক্ষক কবির আহমদ। তিনি সিংচাপইড় ইউনিয়নের সৈদেরগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। আহত শিক্ষক কবির আহমদকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
মানববন্ধ শেষে শিক্ষক নেতারা হমালাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
