বিবিএন নিউজ ডেস্ক : রাজশাহীতে বেশ কিছুদিন ধরেই ভুয়া রসিদ নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে চাঁদা তুলছিল প্রতারক চক্রের সদস্যরা। মানুষের সরল অনুভূতি ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে এরা জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল।
বিষয়টি রাজশাহী গোয়েন্দা পুলিশের নজরে আসে। এরপরই রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- নওগাঁর পোরশার কাওসার হাবিব (২১), রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রাধানগর গ্রামের আবুল কালাম (২১), পার্শ্ববর্তী মকছেদপুর গ্রামের আলী হোসেন (২৩), রাধানগর বর্মতলপাড়া গ্রামের মোস্তফা কামাল (২৫), পলিপাড়া গ্রামের মাসুদ রানা (২৭), দিলালপুর গ্রামের মো. ফিরোজ (২৩), সোনারগাঁও গ্রামের আবদুল জলিল (২১), একই গ্রামের সালমান ইসলাম (২০), রাধানগর মণ্ডলপাড়া গ্রামের আজিয়ার রহমান (২৭), একই গ্রামের মো. সাহাবুদ্দিন (২৮) এবং আবদুল বাতেন (২৮)।
মহানগর ডিবি পুলিশের উপকমিশনার আরেফিন জুয়েল জানান, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অনুভূতি ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রতারক চক্রটি চাঁদা তুলছিল। তারা রাজশাহী মহানগরীর হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বালিকা ক্বারিয়ানা হাফিজিয়া আবাসিক মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং ও এতিমখানা এবং অন্যান্য মাদ্রাসা-এতিমখানার নামে ভুয়া রসিদ তৈরি করে উন্নয়নের কথা বলে চাঁদা তুলছিল।
বিষয়টি মহানগর ডিবি পুলিশের নজরে আসে। পরবর্তীতে ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ টিম শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরীর রাজপাড়া থানার ঘোষের মাহাল এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় চক্রের ১১ জনকে আটক করা হয়।
তাদের কাছ থেকে ভুয়া রসিদ ও এই রসিদের মাধ্যমে তোলা নগদ ৩৫ হাজার ২৫০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে ভুয়া রসিদ তৈরি করে চাঁদা আদায়ের কথা স্বীকার করেছে।
তারা পুলিশকে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই তারা একত্রিত হয়ে রাজশাহী মহানগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে এভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। রমজান ও ঈদকে ঘিরে তাদের চাঁদা আদায়ও ভালো হচ্ছিল। শনিবার সকালে এদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আরএমপির ডিবির উপকমিশনার আরেফিন জুয়েল।