• ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ইংল্যান্ডেসহ ইউরোপে আবারও পরিবর্তন হচ্ছে ঘড়ির কাঁটা

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত অক্টোবর ২৪, ২০২০
ইংল্যান্ডেসহ ইউরোপে আবারও পরিবর্তন হচ্ছে ঘড়ির কাঁটা

বিবিএন নিউজ ডেস্ক :ইংল্যান্ডেসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আবারও পরিবর্তন করা হচ্ছে ঘড়ির কাঁটা। ২৫ অক্টোবর রাত (আজ শনিবার দিবাগত রাত) ২টা থেকে এক ঘণ্টা পিছিয়ে আনা হবে ঘড়ির কাঁটা। অর্থাৎ রাত ২ টায় ঘড়ির কাঁটা ১ টায় নিয়ে আসা হবে।

ব্রিটেনের পাশাপাশি ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্কসহ ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান টাইম জোনকে অনুসরণ করে থাকে।

এক ঘণ্টা সময় পরিবর্তন করার ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রিটেনের সময়ের ব্যবধান হবে ৬ ঘণ্টা। আর সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান টাইম জোনে থাকা দেশগুলোর সময়ের ব্যবধান হবে ৫ ঘন্টা। এছাড়া সারা পৃথিবীতে সময় নির্ণয়ের জন্য প্যারামিটার হিসেবে পরিচিত গ্রিনউইচ মিন টাইম বা জিএমটির সঙ্গে ইউরোপের সেন্ট্রাল দেশগুলোর সময়ের ব্যবধান এক ঘণ্টায় এসে পৌঁছাবে।

এদিকে আগামী রবিবার (২৫ অক্টোবর) থেকে রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, বেলারুশ, ইউক্রেন, গ্রীস অর্থাৎ পূর্ব ইউরোপিয়ান টাইম জোনে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য হবে ৪ ঘণ্টা। গ্রিনউইচ মিন টাইম বা জিএমটির সঙ্গে এখন থেকে পূর্ব ইউরোপিয়ান টাইম জোনে থাকা দেশগুলোর সময়ের পার্থক্য দুই ঘণ্টা হবে।

উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসের শেষ রবিবার ও অক্টোবর মাসের শেষ রবিবার অর্থাৎ বছরে দুইবার ইউরোপের দেশগুলো তাদের সময়ের পরিবর্তন ঘটায়।

২০০১ সাল থেকে ইউরোপের দেশগুলোতে সময় পরিবর্তনের বিষয়টি শুরু হয়। তখনকার সময় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এক অধিবেশনে সদস্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্মিলিতভাবে ঘড়ির কাঁটার পরিবর্তনের বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করে। এ কারণে প্রত্যেক বছরের মার্চ মাসের শেষ রবিবার ঘড়ির কাঁটাকে এক ঘণ্টা এগিয়ে নেয়া হয়, যাকে ‘সামার টাইম’ বলা হয়।

আবার অক্টোবর মাসের শেষ রবিবার ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে আবার মূল সময় ধারায় ফিরিয়ে আনা হয়, যা ‘উইন্টার টাইম’ হিসেবে পরিচিত।