এ ঘটনায় আরও ৩০ জন আহত হন। এর মধ্যে ১৫ জন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্য কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিষয়টি জানিয়েছেন ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস.আই মো. জয়নাল।
সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া শাখা জানায়, হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিসাধীনরা হচ্ছেন- রেজাউল করিম (৫০), শামিম (২৩), জসিম উদ্দিন (৩০), আলা উদ্দিন (৬০), সায়ান (১৬), সালাম (৪০), ডা. অন্তরা (৩০), চান বিবি (৬০), শারমিন (৩০), সীমা পারভিন (৩০), সানাত (৩৫), মাহি (০৭), সুর্বনা (৩০) ও সেলিনা পারভীন (৩০)।
দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি হচ্ছে- ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লন্ডন এক্সপ্রেস (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩১৭৬) ও সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এনা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৭৩১১)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লন্ডন এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে ভুল সাইটে চলে আসার কারণে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সিলেটগামী গাড়িটি ব্রিজ পার হয়েই বিপরীত দিক থেকে আসা এনা গাড়ির উপর উঠে যায়। এসময় প্রচণ্ড গতিতে এনা বাসের সঙ্গে লন্ডন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ ঘটে।
লন্ডন এক্সপ্রেসের বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী জানান, ঢাকা থেকে আসার পথে বার বার গাড়ির চালক অন্য গাড়িকে বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করছিলেন। কয়েকবার আমরা সতর্ক করার পরও চালক আমাদের কথা শুনেননি। যে কারণে এমন মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক কোবাদ আলী সরকার বলেন, লন্ডন এক্সপ্রেস গাড়িটি রাস্তার ভুল দিকে এসে এনা বাসকে ধাক্কা দেয়। প্রাথমিকভাবে লন্ডন এক্সপ্রেসের ভুল বলে মনে হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার আসল কারণ পরবর্তীতে তদন্তে জানা যাবে।
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান জানান, সকালে কুয়াশা তেমন একটা ছিলো না। গাড়ির অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে লন্ডন এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে ওভারটেক করে এনা গাড়ির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। অথবা লন্ডন এক্সপ্রেসের চালক ঘুমিয়েও থাকতে পারেন। বিষয়টি পরে তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে, দুর্ঘটনার পরপরই সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। রশিদপুরের দুদিকে প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে সব ধরণের যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান শেষে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে চলাচল স্বাভাবিক হয়।