• ১৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৪শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

হাইকোর্টে ‘শিশু বক্তা’ রফিকুলের জামিন

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত নভেম্বর ৩, ২০২১
হাইকোর্টে ‘শিশু বক্তা’ রফিকুলের জামিন

বিবি এন নিউজ ঢাকাঃ   বিস্ফোরক আইনে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা থাকায় এখনই কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি।

বিচারপতি মো: হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো: রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে জামিন দেন।

তবে এক মাসেরও বেশি সময় আগে জামিন পেলেও বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়নি। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা।

তিনি বলেন, ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানী হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। হাইকোর্টের একই বেঞ্চে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন আবেদন শুনানির জন্য মঙ্গলবার কার্যতালিকায় ছিল। তবে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।

রফিকুল ইসলাম মাদানী এখন কামিশপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে তাকে কাশিমপুরে পাঠানো হয়।

তারও আগে গত ২১ এপ্রিল গাজীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন্নাহার রফিকুল ইসলাম মাদানীর রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাকে আদালতের নির্দেশে বাসন থানার একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। রিমান্ড শেষে মাদানীকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গাজীপুরের টেকনাগপাড়া এলাকার মো: মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। দুই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন রফিকুল ইসলাম মাদানীর আইনজীবীরা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মারকাজুল নূর আল ইসলামিয়া মাদরাসায় বসে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। এছাড়া যে কয়েকজন বক্তা ওয়াজ মাহফিলের নামে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম রফিকুল।

গত ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করে র‌্যাব। পরদিন র‍্যাবের নায়েক সুবেদার আবদুল খালেক গাজীপুরের গাছা থানায় প্রথম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।