বিবিএন ডেস্ক: করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে সাত দিনের কঠোর লকডাউন জারি করেছে সরকার। এ লকডাউনে বন্ধ থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত। এসময়ে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। লকডাউনে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি।
তবে কঠোর লকডাউনের সময় রফতানিমুখী কারখানা বিশেষ করে পোশাক কারখানা এর আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে উদ্যোক্তারা। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থায় এনে উৎপাদনে থাকতে চান তারা।
উদ্যোক্তারা বলছেন, কারখানা বন্ধ হলে শিপমেন্ট বন্ধ হবে এতে ব্যাংক তাদের টাকা দেবে না। তাছাড়া আসন্ন ঈদে কর্মীদের বেতন-বোনাসসহ আগামী মাসের (জুলাই) ১৫ দিনের বেতন দেয়াও তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। এ অবস্থা বিবেচনায় রফতানিমুখী কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বিকেএমইএর সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, এ মুহূর্তে কারখানাকে লকডাউনের আওতায় আনলে শিপমেন্ট হবে না, টাকাও আসবে না ব্যাংক থেকে। তবে শিপমেন্ট হলে ব্যাংক থেকে টাকা আসবে এতে চলতি ও আগামী মাসের সাথে বোনাসও সমন্বয় করে শ্রমিকের হাতে তুলে দিতে পারবো।
বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আমাদের নতুন করে বিধি-নিষেধ নিয়ে বলার নেই। আগের মতোই কঠোর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ঠিক রেখে উৎপাদনে থাকতে হবে। তাছাড়া আমাদের মনিটরিংও রয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা শতভাগ মেনেই আগের মতো উৎপাদনে থাকতে চাই। এ বিষয় নিয়ে কোনো কারখানার কোনো অজুহাত আগেও শোনা হয়নি এখনো হবে না।