লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধে ৮১ ভাগ মাটির কাজ শেষ হয়েছে এখন চলছে কম্পেকশন ও বাধে ঘাস লাগানোর কাজ। চলতি বোরো মওসুমে উপজেলার খরচার হাওর, আঙ্গারুলি হাওর শনির হাওর ও হালির হাওরের ১৭ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল আগাম বন্যার হাত থেকে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যেমে ৫৪ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি মাধ্যমে ৩১ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। বাঁধ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। গেল বছর ডিসেম্বর মাসে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। খরচার হাওর তীরবর্তী ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ মাটির কাজ শেষ হলেও রবার ড্যাম তীরবর্তী এলাকায় বাধে মাটি ফেলা র্দুমুজ ও ড্রেসিংয়ের কাজ এখনো চলমান রয়েছে। বাঁধের অধিক ঝুকিপূর্ন অংশে বাঁশের খুটি স্থাপনের কাজও চলমান রয়েছে। এসব কাজ শেষ করার পরে শুরু হবে বাঁধের ঝুঁকিপূর্ন অংশে মাটি ভর্তি সিমেন্টের বস্তা ফেলার কাজ। সরে জমিনে গিয়ে দেখাযায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পুরান বাজার এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় বাঁধের মাটির কাজ শেষ হলেও এখনো ঘাস লাগানো হয়নি। কিছু কিছু অংশে বাঁশ পুতা ও মাটির বস্তা ফেলার কাজ শুরু হয়নি। ফতেহপুর ইউনিয়নের নয়াবারুঙ্কা গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল জানান, এখনো বৃষ্টি-বাদল শুরু হয়ে গেছে। বাঁধের মাটির কাজ শেষ হলেও বাঁশ বস্তা ফেলার কাজ শেষ হয়নি। এসব কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। ফুলভরি গ্রামের কৃষক ময়না মিয়া বলেন, কয়েক দিন পরে নদীতে জোয়ার আসবে অনেক বাধে ঢাল ঠিক মতো করা হয়নি। মাটির কাজ শেষ হলেই বাঁধ নিরাপদ হয় না অন্যান্য কাজ গুলো যথা সময়ে শেষ করতে হবে। এদিকে সলুকাবাদ ইউনিয়নের চলতি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের সার্বিক অগ্রগতি খুবই কম। সেখানে বালি মাটি দিয়ে ধীর গতিতে তৈরি করা হচ্ছে ফসল রক্ষা বাঁধ। এলাকাবাসীয় অভিযোগ এভাবে বালি দিয়ে কচ্চপ গতিতে বাঁধ নির্মাণ করলে পাহাড়ি আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে তাদের ফসল ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহাকারী প্রকৌশলী মুনছুর রহমান বলেন চলতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের শতভাগ কাজ শেষ করা হবে। বাঁধ ও বাঁধের ঝুকিপূর্ন অংশে মাটি ফেলার কাজ প্রায় শেষের পথে। এখনো ড্রেসিং র্দুমুজ ও ঘাস লাগানো হবে। যাদের কাজের অগ্রগতি কম ও ত্রুটিপূর্ন রয়েছে সেসব বাঁধ দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। উপজেলা কাবিটা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে কোন ধরনের অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। প্রতিদিন বাঁধ নির্মাণের কাজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথাও কোন ত্রুটি পেলে তাক্ষনিক নির্দেশনার মাধ্যমে সংস্কার করা হচ্ছে। হাওরের ফসল কৃষকের ঘরে ওঠার আগে পর্যন্ত প্রশাসন মাঠে তদারকির কাজ করবে।