নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জের ছাতকে সড়ক দূর্ঘটনায় ফাহিম আহমদ ফারহান (২০) নামের এক মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত হয়েছে। সে সিলেট মদন-মোহন কলেজের ছাত্র ও ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের তকিপুর গ্রামের আবদুল খালিকের পুত্র। বর্তমানে তারা সিলেটের বন কলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটের বনকলাপাড়া থেকে বন্ধু নাইমুর রহমান রাহি’র (২২) মোটর সাইকেল যোগে সুনামগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে যাচ্ছিলেন কলেজ ছাত্র ফাহিম আহমদ ফারহান। ফাহিম ছিল মোটর সাইকেলের আরোহী আর রাহি চালক। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের সুহিতপুরস্থ আলী গ্যাস পাম্প এলাকায় পৌঁছার পর সেখানে গ্যাস নিতে আসা শান্তিগঞ্জের পাগলা এলাকার একটি সিএনজি-চালিত আটো রিকশা সড়কের এক পাশ থেকে গ্যাস পাম্পে প্রবেশের সময় ধাক্কা লাগে মোটর সাইকেলের। এতে মোটর সাইকেলে থাকা দু’জন সড়কে ছিঁটকে পড়ে আহত হন। উপস্থিত লোকজন তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত আরোহী ফাহিম আহমদ ফারহানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের এক স্বজন জানিয়েছেন, পাসপোর্টের পিঙ্গার দিতে ফাহিমকে সাথে নিয়ে সুনামগঞ্জ যাচ্ছিলেন নাইমুর রহমান রাহি।
স্থানীয় সচেতন লোকজনরা জানান, ছাতক-সিলেট সড়কের মাধবপুর ও সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের সুহিতপুরস্থ এলাকায় পৃথক দুটি গ্যাস পাম্প রয়েছে। গ্যাস নিতে প্রতিদিন এ দুই পাম্পে ভিড় করেন কয়েক শ’ সিএনজি চালিত অটো রিকশাসহ চালকরা। এতে পাম্পের সীমানা ছাড়িয়ে সড়ক প্রায় অর্ধেক দখল করে সিএনজি চালিত অটো রিকশাগুলোর দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়। গাড়ি নিয়ে চালকরা ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়। যে কারণে পাম্প এলাকায় সড়কে অন্যান্য যানবাহন চলাচলে ব্যঘাত ঘটে।
এ ব্যাপারে সড়কের জয়কলস হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সেলিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দূর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল ও সিএনজি-অটো রিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।