• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সুনামগঞ্জে”উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পুর্বপ্রস্তুতি গ্রহণে দুর্যোগ সাংবাদিকতার ভূমিকা’’শীর্ষক মতবিনিময় সভা

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
সুনামগঞ্জে”উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পুর্বপ্রস্তুতি গ্রহণে দুর্যোগ সাংবাদিকতার ভূমিকা’’শীর্ষক মতবিনিময় সভা

লতিফুর রহমান রাজু’ সুনামগঞ্জ: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ২০২২ সালে পর পর ভয়াবহ কয়েকটি বন্যা  সংঘটিত হয়, যা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু এমন ভয়াবহ দুর্যোগের ব্যাপারে কোন পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না। কারণ, গণমাধ্যমসহ কোথাও এমন ভয়াবহ বন্যার ব্যাপারে কোন পূর্বাভাস ছিল না। এমন ভয়াবহ দুর্যোগ প্রতিরোধে, ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে, পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণে এবং ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে মানুষ গণমাধ্যমের দিকে অনেকাংশে তাকিয়ে থাকে। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশে দুর্যোগ সাংবাদিকতা বিকশিত হওয়া প্রয়োজন বলে করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা।


তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট ও সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি মতবিনিময় সভায় তারা এমন কথা বলেন। ’’বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার পুর্বপ্রস্তুতি গ্রহণে দুর্যোগ সাংবাদিকতার ভূমিকা’’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভা বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের এই সংক্রান্ত গবেষণা প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজুর সভাপতিত্বে এবং এই গবেষণার প্রধান গবেষক সাংবাদিক এহসানুল হক জসীমের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের গবেষণা কর্মকর্তা মো: ফাইম সিদ্দিকী, গ্রন্থাগারিক কাজী ওমর খৈয়াম ও সহযোগী গবেষক আলী আহমদ।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি মাসুম হেলাল, মাছরাঙা টিভির জেলা প্রতিনিধি এমরানুল হক চৌধুরী, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সিনিয়র সহসভাপতি সেলিম আহমদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি শেখর ভদ্র, দৈলিক জালালাবাদের জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন, দৈনিক আজকালের জেলা প্রতিনিধি আমিনুল হক মোশাইদ রাহাত প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, একুশের টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্দুস সালাম, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের জেলা প্রতিনিধি তসদ্দুক রাজা চৌধুরী ইমন, বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি অরুণ চক্রবর্তী, সাংবাদিক শামছুল কাদির মিসবাহ, দৈনিক বণিক বার্তা জেলা প্রতিনিধি আল আমিন,  বৈশাখী টিভির জেলা প্রতিনিধি কর্ণ বাবু দাস, আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি এমরান হোসেন, মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি আবু হানিফ, দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি মোশাহিত রাহাত, ঢাকা প্রকাশের জেলা প্রতিনিধি মনোয়ার চৌধুরী, সকালের সময়ের জেলা প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম, গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান রুমান, সকাল বেলার জেলা প্রতিনিধি সামিয়ান তাজুল, দৈনিক জাগরণের টিভির জেলা প্রতিনিধি পীর জুবায়ের, রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য আশীষ রহমানসহ সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ছাড়াও সুনামগঞ্জে কর্মরত অনেক সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা ২০২২ সালে সংঘটিত পর পর তিনটি বন্যার বিষয়টি সরেজমিন যা দেখেছেন এবং এই সংক্রান্ত রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন।  বন্যাসহ দুর্যোগের ক্ষেত্রে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণে গণমাধ্যমের ভূমিকার বিষয়ে তারা তাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন। তারা বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের ‍দুর্যোগ সাংবাদিকতার উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার যাতে দুর্যোগের পূর্বে গণমাধ্যমে রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণে ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ আবু সাদেক বলেন, বাংলাদেশে দুর্যোগ সাংবাদিকতা এখনো সেভাবে বিকশিত হয়নি। এদেশে দুর্যোগ সাংবাদিকতা  বিকশিত হওয়া খুবই প্রয়োজন। প্রত্যেক গণমাধ্যমের উচিত দুর্যোগ বিষয়ক প্রতিবেদনকে গুরুত্ব দেওয়া।