• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কনক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করে সুনামগঞ্জ জেলার হাওর ও টাংগুয়ার বিলের সুরক্ষার দাবী বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টির

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মে ২৫, ২০২২
কনক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করে সুনামগঞ্জ জেলার হাওর ও টাংগুয়ার বিলের সুরক্ষার দাবী বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টির

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২৫ মে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি-বিএইচপি সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে সদর উপজেলাধীন গৌরারাং ইউনিয়নে শুকনা খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করা হয়।

এই ত্রাণ বিতরণে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএইচপির মহাসচিব ড. সুফি সাগর সামস্, বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএইচপির ভাইস-চেয়ারম্যান, মো. ফজলুল বারী, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম এবং বিএইচপির সুনামগঞ্জ জেলার সভাপতি (প্রস্তাবিত) দ্বিজেন কুমার সরকার, মোঃ নুরুল ইসলাম, অনকুল চন্দ্র দাস, মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট প্রণব চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস, শ্রীকান্ত পাল, মো. জিয়াউর রহমান, ওয়াহাব আলী, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সাব্বির আহম্মেদ, নোবেল দাস, পঙ্কজ দাস, মোঃ ইস্তাজ আলী ফকির রাজ কুমার দেবনাথ শামছুন্নাহার (শিলা) প্রমুখ নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

এই ত্রাণ বিতরণকালে বিএইচপি মহাসচিব বলেন, বিশ্বম্বরপুর উপজেলায় অবস্থিত কর্ডার হাওর, শনির হাওর, তাহির হাওর, মাটাইন হাওর, আংগুর আলী হাওর এবং টাংগুয়ার বিলের উৎপাদিত ধান সময় বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষের সিংহভাগ ভাতের যোগান দেয়। এই ৯০ ভাগ গরীব মানুষ পেটভরে খেতে পায়। এই হাওরের কৃষক বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। দেশের গরিবদুঃখী মানুষের ভাতের সুরক্ষার জন্য সুনামগঞ্জের হাওরের ধানের সুরক্ষা করতে হবে। প্রধান অতিথি সুফি সামস্ আরো বলেন, বাংলাদেশ সমুদ্র (কক্সবাজার) ভরাট করে বিমানবন্দর নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে। কিন্তু জনগণের ভাতের নিশ্চয়তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই হাওরের শক্ত বাঁধ নির্মাণ করতে পারে না। এটি একটি আশ্চার্যজনক ঘটনা। প্রতিবছর বাঁধ ভেঙ্গে কৃষকের ফসল ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিএইচপি মহাসচিব সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্বরপুর উপজেলায় অবস্থিত এই সুনামগঞ্জ জেলার সবকটি হাওরের সুরক্ষার লক্ষ্যে কনক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান, যাতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং কৃষকের ফসল ও গরীবদুঃখী মানুষের ভাতের নিশ্চয়তা সুরক্ষিত হয়।

গতকাল মঙ্গলবার জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের বন্যার্ত সাড়ে তিন শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেন।