• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

শোকে কাতর সিলেট

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত এপ্রিল ৩০, ২০২২
শোকে কাতর সিলেট

ওয়েছ খছরু অতিথি প্রতিবেদক: সাবেক অর্থমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সাবেক এমপি ড. আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে শোকে কাতর হয়ে পড়েছে সিলেট। শুক্রবার রাতে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে শোক বিরাজ করে। এ সময় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মুহিতের ধোপাদিঘীরপাড়ের বাসাতে ভিড় জমান। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েনও।
এদিকে- শনিবার সকাল হতেই নেতাকর্মীরা তার বাসায় ভিড় করেন। সকাল ১০টার পর সেখানে সিলেট জেলা আওয়মী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী ও মহানগর সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ সহ সিনিয়র নেতারা তার হাফিজ কমপ্লেক্সের বাসায় যান। সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারাও তার বাসায় ভিড় করেন।
এর আগে নগরীর আলীয়া মাদ্রাসা ময়দান পরিদর্শন করেন নেতারা। আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে উপস্থিত সিটি করপোরেশনের কর্মীরা জানিয়েছেন- মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নির্দেশে তারা মাঠ পরিষ্কার ও সংস্কার করছেন। এই ময়দানে আগামীকাল জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে।

মাঠ পরিদর্শনকালে সিলেট জেলা আওয়ী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুী জানিয়েছেন- আগামীকাল এই ময়দানে মুহিতের শেষ জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে। এ কারণে মাঠ পরিষ্কার করা হচ্ছে। তিনি বলেন- সাবেক এই মন্ত্রীর মৃত্যুতে সিলেটে ফের রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি হলোআমরা অভিভাবকহীন হলাম।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন- ভাসা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাল আবদুল মুহিত আমাদের অভিভাবক ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সঙ্গী ও উন্নয়নের সারথী ছিলেন। তার মৃত্যুতে শুধু সিলেটে নয়, জাতীয়ভাবেও আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।

সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম জানিয়েছেন- সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনে একশ’ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, মুহিতের আমলে তার চেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। সিলেটে তিনি দুটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে গেছেন।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও আওয়ামী লীগ নেতা রজত কান্তি গুপ্ত জানিয়েছেন- তিনি স্বচ্ছ চিন্তার মানুষ ছিলেন বলেই আমরা দেশসেরা একটি শহীদ মিনার পেয়েছি। নাটকের মহড়াও স্থান সহ সাংস্কৃতিক নানা বিষয়ে সিলেটে তার অবদান অপরিসীম।

কামরানপুত্র ডা. আরমান আহমদ শিপলু জানিয়েছেন- সাবেক মন্ত্রী মুহিত ও সাবেক মেয়র কামরান দু’জন সিলেটকে আলোকিত করতে এক সঙ্গে কাজ করেছেন। এক বছর আগেই মারা গেলেন কামরান। আর আজ মুহিত। আমরা ধীরে ধীরে অভিভাবকহীন হয়ে গেছি বলে মন্তব্য করেন তিনি।  (দৈনিক মানবজমিন)