• ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

সুনামগঞ্জে ৩ উপজেলার ১৮ ইউনিয়নের ১১টিতেই নৌকাডুবি

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৬, ২০২২
সুনামগঞ্জে ৩ উপজেলার ১৮ ইউনিয়নের ১১টিতেই নৌকাডুবি
লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ: পঞ্চম ধাপে সুনামগঞ্জ জেলার তিন উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ৮ ইউনিয়নে বিদ্রোহী, ৭ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, ২ ইউনিয়নে বিএনপি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে ১টি ইউনিয়নে।

শাল্লা উপজেলায় ১ ইউনিয়নে বিএনপি, ২ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। জামালগঞ্জ উপজেলায় ২টি ইউনিয়নে নৌকা, একটিতে বিএনপি এবং ১টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এদিকে, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪ জন এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৬ জন জয়ী হয়েছেন।

শাল্লা উপজেলার ১ নং আটগাঁও ইউনিয়নে বিএনপির নেতা আব্দুলাহ আল নোমান (আনারস), ২ নং হবিবপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী সুবল চন্দ্র দাস (আনারস), ৩ নং বাহাড়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী (ঘোড়া) বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু এবং ৪ নং শাল্লা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা) আব্দুছ ছাত্তার বিজয়ী হয়েছেন।

জামালগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর বেহেলী ইউনিয়নে সুব্রত সামন্ত সরকার (নৌকা), ৩ নম্বর ফেনারবাঁক ইউনিয়নে কাজল তালুকদার (নৌকা), ৪ নম্বর সাচনা বাজার ইউনিয়নে মো. মাসুক মিয়া (ঘোড়া) এবং ৫ নম্বর ভীমখালী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তারুজ্জামান তালুকদার (ঘোড়া) বিজয়ী হয়েছেন।

ধর্মপাশা উপজেলার ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জুবায়ের পাশা হিমু, সেলবরষ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম ফরিদ খোকা, পাইকুরাটি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক ইকবাল, জয়শ্রী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সঞ্জয় রায় চৌধুরী, সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নাসরিন সুলতানা দীপা এবং সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকাররম হোসেন জয়ী হয়েছেন।

মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মধ্যনগর আওয়ামী লীগের সদস্য সঞ্জিব তালুকদার টিটু, চামরদানী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আলমগীর খসরু, বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রাসেল আহমেদ এবং বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুন্নবী বিজয়ী হয়েছেন।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। এরমধ্যে জামালগঞ্জ উপজেলার ৪ ইউনিয়নে ২২, শাল্লা উপজেলার ৪ ইউনিয়নে ১৭ এবং ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৫৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

ধর্মপাশা ও মধ্যনগরের ১০০, শাল্লার ৪০ ও জামালগঞ্জের ৪২ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ভোটাররা। ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫৯ জন, জামালগঞ্জ উপজেলায় ৮২ হাজার ২৪৪ জন, শাল্লা উপজেলায় ৮৪ হাজার ৮৭৫ জন ভোটার ছিলেন।