• ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কোভিড মোকাবেলায় ’প্ল্যান বি’তেই ভরসা রাখছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৩, ২০২২
কোভিড মোকাবেলায় ’প্ল্যান বি’তেই ভরসা রাখছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

বিবিএন ডেস্ক: কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্ল্যান বি মেনেই চলবে ইংল্যান্ড। এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আইলেসবেরির এক ভ্যাকসিন কেন্দ্র প্রদর্শনকালে তিনি আরও বলেন, মহামারি শেষ হয়ে গেছে ভাবা হবে ‘মূর্খতা’। প্ল্যান বি অনুযায়ী বৃটেনে ক্ষেত্র বিশেষে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, সম্ভব হলে বাড়িতে বসে অফিস করা এবং নির্দিষ্ট ভেন্যুতে কোভিড পাস ব্যবহার চালু রয়েছে। দেশের কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্দেশনায় পরিবর্তন আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বরিস। তবে এর আগে প্ল্যান বি’তেই ভরসা রাখছেন তিনি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সাবধান করে বলেন, সামনের সপ্তাহগুলোতে এনএইচএসের উপরে চাপ বাড়তে যাচ্ছে। দেশটিতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পরায় মানুষের হাসপাতালে ভর্তির হার বাড়ছে।
তবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট তুলনামূলক মৃদু উপসর্গ প্রদর্শন করছে বলেও জানান বরিস জনসন। তিনি সবাইকে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখনো ২০ লাখ বুস্টার ডোজ মজুদ আছে। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে যারা আইসিইউতে গেছেন তাদের বেশিরভাগই বুস্টার ডোজ নেননি।
এদিকে স্কুলগুলোতে মাস্ক পরার উপরে জোর দিয়েছেন বরিস জনসন। তিনি বলেন, ক্লাসরুমে মাস্ক পরার বিষয়টি তারও পছন্দ না, তবে এটি সংক্রমণের গতি কমায় বলে প্রমাণ রয়েছে। তবে প্রয়োজনের বাইরে একদিনও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক রাখা হবে না বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
কোভিড আইসোলেশনের সময় কমানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আক্রান্তের পর কতদিন পর্যন্ত মানুষের দেহে ভাইরাস থাকে তা জানার চেষ্টা করছে সরকার। যদি দেখা যায় আইসোলেশনের সময় কমালে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি থাকছে না, তাহলে কমিয়ে আনা হবে। কিন্তু বরিস জনসন আরও যুক্ত করেন যে, তারা কোনোভাবেই ভাইরাস আক্রান্ত ব্যাক্তিকে বাইরে ছেড়ে দিতে চান না।  বর্তমানে ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে কোভিড টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ এলে ৭ দিনের মাথায় আইসোলেশন শেষ করা যায়।