• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

৫৫০ মিলিয়ন পাউন্ডে রফা যুক্তরাজ্যের আলোচিত দুবাইয়ের রাজপরিবারের ডিভোর্স কেস

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২২, ২০২১
৫৫০ মিলিয়ন পাউন্ডে রফা যুক্তরাজ্যের আলোচিত দুবাইয়ের রাজপরিবারের ডিভোর্স কেস

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় রায়ে ৫৫০ মিলিয়ন পাউন্ড সমপরিমাণ অর্থ লাভ করে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছেন দুবাইয়ের প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসেইন। যুক্তরাজ্যের আইনি জগতের ইতিহাসে একে বলা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা।

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুম এবং তার সর্বকনিষ্ঠ ও ষষ্ঠ স্ত্রী প্রিন্সেস হায়ার বিবাহ বিচ্ছেদের আলোচিত মামলার রায় হয়েছে। ৪৭ বছরের প্রিন্সেস হায়াকে এককালীন ২৫ কোটি ১৫ লাখ পাউন্ড দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।

শেখ মোহাম্মদ শুধু দুবাইয়ের ধনাঢ্য শাসক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি ঘোড়দৌড়ের জগতেও রেসের ঘোড়ার একজন প্রভাবশালী মালিক।

জর্ডানের সাবেক রাজা হুসেইনের কন্যা প্রিন্সেস হায়া ২০১৯ সালে তার দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যান। তিনি বলেন, শেখ মোহাম্মদ এর আগে তার দুই মেয়ে শেখ লতিফা ও শেখ শামসাকে অপহরণ করিয়েছেন। ফলে তিনি এখন তার নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছেন।

প্রিন্সেস হায়া তার এক ব্রিটিশ দেহরক্ষী সাবেক সেনার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বলে জানার পর শেখ মোহাম্মদ ‘তুমি বেঁচে ছিলে, তুমি মরে গেছো’ নামে একটি কবিতা প্রকাশ করেন। এতে তাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অনুমান করা হয়। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পরও তিনি হুমকি পেয়েছেন।

আদালত রায় দিয়েছেন, দুবাইয়ের এই শাসকের ঘরে প্রিন্সেস হায়ার দুই সন্তানের প্রত্যেককে প্রতি বছর ৫৬ লাখ পাউন্ড দিতে হবে। এটি ২৯ কোটি পাউন্ডের একটি গ্যারান্টি দিয়ে সুরক্ষিত করা থাকবে।

এই দুই সন্তানের মধ্যে এক কন্যার বয়স ১৪ বছর এবং পুত্রের বয়স ৯ বছর। প্রিন্সেস হায়ার যুক্তরাজ্যে দুটি দামি বাড়ি রয়েছে। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের খরচের কথাও রায়ে রয়েছে। এই বাড়িগুলোর একটি লন্ডনের কেনসিংটন প্রাসাদের পাশেই। অপরটি সারে কাউন্টির এগহ্যামে।

রায়ে প্রিন্সেসের নিরাপত্তার ব্যয়, ছুটি কাটানোর খরচ, একজন নার্স ও আয়ার বেতন ও আবাসনের খরচ, পরিবারের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং তার পালিত ঘোড়া ও অন্যান্য প্রাণীর খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ বছর হাইকোর্ট এক রুলিংয়ে বলেছে, শেখ মোহাম্মদ অবৈধভাবে প্রিন্সেস হায়া, তার দেহরক্ষী এবং আইনজীবী দলের ফোন হ্যাক করিয়েছিলেন। এজন্য ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করা হয়। তবে শেখ মোহাম্মদের দাবি, তার কাছে কোনও হ্যাক করে পাওয়া সামগ্রী নেই এবং তার অনুমোদন নিয়ে কোনও নজরদারি চালানো হয়নি। প্রিন্সেসের কোনও ক্ষতি করার ইচ্ছেও তার নেই।