• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সউদি আরবে বাংলাদেশী শ্রমিকের মৃত্যু

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২৩, ২০২১
সউদি আরবে বাংলাদেশী শ্রমিকের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় চার বছর আগে পরিবারের সুখের টার্গেট নিয়ে বৈধ পথে সউদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন সুজন মিয়া (৩০)। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের আবদুস শহিদের পুত্র।
হাইয়ালুজা (মুচনাবাজার) এলাকায় বসবাস করতেন সুজন। গত রোববার (২১ নভেম্বর) বিকেলে জেদ্দা সাগড়ের পার কর্নেশ এলাকায় সাপ্লাইয়ার একটি কোম্পানীতে ক্যারেঙ্গের উপরে আরোহন করে কাজ করছিলেন  সুজন মিয়া। এসময় ২৮ চাকার একটি লড়ি গাড়ি তার ক্যারেঙ্গকে ধাক্কা দিলে উপর থেকে মাটিতে ছিটকে পড়ে সে গুরুতর আহত হয়। কাজের সুপারভাইজারসহ উপস্থিত লোকজন তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত সউদি জার্মানি হাসাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
এদিকে, প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিক সুজন মিয়ার মৃত্যুর খবরে তার বাড়িতে চলছে আহাজারি। পিতা-মাতা, ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা পাগলপারা। তাদের কান্নায় যেন এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। পাড়া-প্রতিবেশিসহ গ্রামের মানুষও শোকাহত।
নিহতের বড় ভাই শামছুল ইসলাম সুমন জানান, পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা দূর করতে চার বছর আগে সউদি আরবে পাড়ি দিয়েছিল সুজন। কাজ করা অবস্থায় ঘাটত লড়ি তাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। আহত অবস্থায় সেখানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছোট ভাই, দুবাই প্রবাসী শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন পবিত্র মক্কা-মদীনার দেশ সউদি আরব। এ পবিত্র মাটিতে তার ভাইকে দাফন করা হবে।
সউদি আরবে অবস্থানরত জগলু হোসাইন তালুকদা জানান, মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের মর্গে লাশ দেখে এসেছেন। গ্রামের রুহেল, স্বপন, মাখন মিয়াসহ অন্যান্য প্রবাসীরা সব ধরণের সহযোগিতা করছেন।
সউদি আরব থেকে রুহেল মিয়া তালুকদার দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পরিবারের লোকজন এখানে দাফনের সম্মতি দিয়েছেন। কাগজপত্রের বিভিন্ন জটিলতাও রয়েছে। এগুলো সংশোধন করে লাশ গ্রহণের পর দাফন সম্পন্ন  হবে।