• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

যুক্তরাজ্য কি এবার লকডাউন এড়াতে পারবে?

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত নভেম্বর ২৩, ২০২১
যুক্তরাজ্য কি এবার লকডাউন এড়াতে পারবে?

বিবিএন ডেস্ক: পশ্চিম ইউরোপের কিছু অংশে শুরু হয়েছে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ। নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েক দেশে হঠাত সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়তে শুরু করায় নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ এবং লকডাউন দেওয়ার তোরজোড় চলছে।

করোনার চতুর্থ ঢেউ যুক্তরাজ্যেও আসতে পারে এমন আশঙ্কার প্রবল। তবে যুক্তরাজ্যে এর ভয়াবহতা ইউরোপের অন্যান্য অংশের মতো খারাপ নাও হতে পারে বলে বিশ্বাস একদল গবেষকের। তাদের অভিমত, এই শীতে কোভিড মোকাবেলায় সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে থাকতে পারে যুক্তরাজ্য। আর এই দাবির পক্ষে তাদের ব্যাখ্যাগুলো তুলে ধরেছেন বিবিসি।

পরিস্থিতি কেন এমন হতে পারে তা বোঝার জন্য, পশ্চিম ইউরোপে চতুর্থ ঢেউ কেন শুরু হয়েছে তা আপনাকে দেখতে হবে।

ইউরোপের অনেক অংশের তুলনায় যুক্তরাজ্যে বিশেষ করে ইংল্যান্ডে অনেক বেশি সময় ধরে কড়া বিধিনিষেধ জারি রাখা হয়েছিল।

জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত ইংল্যান্ড সম্পূর্ণভাবে লকডাউন জারি ছিল। ওদিকে শরতের আগ পর্যন্ত ইউরোপের অনেক অংশ কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখলেও কিছু অংশ তা করেনি।

এখানে টাইমিংয়েরও একটি বিষয় আছে। করোনার সবচেয়ে মারাত্মক দুটি ভ্যারিয়েন্ট আলফা ও ডেল্টার সংক্রমণ যুক্তরাজ্যে সবার প্রথমে শুরু হয়। এরপরও লকডাউন তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যদের থেকে এগিয়ে ছিল ইউকে।

যুক্তরাজ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি!m

গবেষকরা, ইউরোপের বাকি অংশ কোভিডের যে ঢেউটি শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে তা যুক্তরাজ্যেও চলছে। কিন্তু প্রতিরোধ ক্ষমতার দ্বারা এর ভয়াবহতা এড়াতে সক্ষম হচ্ছেন ব্রিটিশরা।

শুরু থেকেই জনগণকে দ্রুত ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে সচেষ্ট ছিল ব্রিটিশ সরকার। বিশেষ করে বয়স্ক, শারীরিক দুর্বল, কোভিডে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়ায় দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তির সংখ্যা কমই বলা চলে।

হঠাৎ করে সবাই একযোগে কোভিডের সংস্পর্শে এলে পরিণতি কী হতে পারে তা পরিমাপের চেষ্টা করছেন লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকরা। তারা ইংল্যান্ডের জন্য মডেলটি তৈরি করেছেন। যদিও স্কটল্যান্ড, ওয়েস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেও অনুমান দেয়।

 

গবেষকদের অনুমান যদি মিলে যায়, এবারে ইংল্যান্ডে সবচেয়ে কম সংখ্যক লোককে (প্রতি লাখে ৬২ জন) হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হতে পারে। এদিকে জার্মানিতে সংখ্যাটি ৩০০তে পৌছাতে পারে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দাঁড়াতে পারে রোমানিয়ার। বলা হচ্ছে, জনগণকে ভ্যাকসিন গ্রহণে এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে মুশকিলে পড়া দেশটি প্রতি লাখে ৮০০ থেকেও বেশি কোভিড কেস দেখা দিতে পারে।

গবেষকদলের প্রধান ডক্টর লয়েড চ্যাপম্যান বলেন, অক্টবরের তথ্য বিশ্লেষন করে আমরা এই অনুমানটি করে। নভেম্বরের শেষে পাওয়া তথ্যগুলো নিয়ে একই গবেষণা চালালে তা ইংল্যান্ডের জন্য আরও অনুকূলে যাবে।