• ১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতক ও দোয়ারায় ১৯টি ইউনিয়ন নির্বাচনে দশটিতে নৌকার ভরাডুবি

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১২, ২০২১
ছাতক ও দোয়ারায় ১৯টি ইউনিয়ন নির্বাচনে দশটিতে নৌকার ভরাডুবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার দ্বিতীয় ধাপে ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসব মূখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট উৎসবে অংশ নেন এ অঞ্চলের ভোটাররা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা ছিল প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ও আশপাশ এলাকা। ছাতক সদর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান, সাইফুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ৩হাজার ১৪৩ ভোট পেয়ে পূনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ছিলেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রঞ্জন কুমার দাস নৌকা প্রতীকে ২হাজার ৭৪৪ ভোট পেয়েছেন। ইসলামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, জামায়াত নেতা সুফি আলম সোহেল টেলিফোন প্রতীকে ৫হাজার ৭৭০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা আকিক হোসাইন পেয়েছেন ৪হাজার ৫৬২ ভোট। খুরমা উত্তর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ নৌকা প্রতীকে ৪হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এনিয়ে তিনি টানা তিনবার নির্বাচিত হয়ে হ্যাট্রিক করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শামছুল ইসলাম খান আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩হাজার ৭৭৯টি। কালারুকা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, অদুদ আলম নৌকা প্রতীকে ৯হাজার ৭৪৪ ভোট পেয়ে পূনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি, স্থানীয় বিএনপি নেতা আশরাফুল আলম আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৬হাজার ৫২৯টি। দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী আবু বক্কর সিদ্দিক ঘোড়া প্রতিকে ২হাজার ৮২৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়নাল আবেদীন টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ২হাজার ৭৭৪ ভোট। চরমহল্লা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল হাসনাত মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩হাজার ২৯৩ ভোট পেয়ে পূনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বীর মুক্তিযোদ্ধা কদর মিয়া (নৌকা) প্রতীকে পেয়েছেন ২হাজার ৮৬৪ ভোট। জাউয়াবাজার ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল হক ঘোড়া প্রতীকে ৪হাজার ১৮২ ভোট পেয়ে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম ৩হাজার ৪১১ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। দোলারবাজার ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে বিএনপি নেতা নুরুল আলম ৫হাজার ৪৬ ভোট পেয়ে প্রথম বারের মতো তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমির উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪হাজার ২৭২টি। গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে সাবেক চেয়ারম্যান সুন্দর আলী ৫হাজার ৪২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন চেয়ারম্যান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪হাজার ৫৩২ ভোট। ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে গয়াছ আহমদ ৫হাজার ৯২২ ভোট পেয়ে পূনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন, যুক্তরাজ্য প্রাবাসী নানু মিয়া। তিনি চশমা প্রতীকে ৫হাজার ৪১৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। এখানের ১০ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের ৬ প্রার্থীর ভরাডুবি হয়েছে। এদের  মধ্যে রয়েছেন তিনজন বর্তমান চেয়ারম্যান। নির্বাচিত অন্য ৪জন নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী।

এদিকে, দোয়ারাবাজার উপজেলার ৯টি ইউনিয় পরিষদের মধ্যে দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে ৬হাজার ৫১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আবদুল হামিদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল বারি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪হাজার ২২২ ভোট।
দোহালিয়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে ৫হাজার ৬০৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শামীমুল ইসলাম শামীম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ও আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মিয়া মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪হাজার ২৪৯ ভোট।
সুরমা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে ৫হাজার ৪৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম বীরপ্রতীক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হারুন অর রশিদ মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫হাজার ১৯ ভোট। লক্ষিপুর ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী জহিরুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬হাজার ৪৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আমিরুল হক চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৪হাজার ১০ ভোট। বোগলাবাজার ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে ৫হাজার ২১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মিলন খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আরিফুল ইসলাম জুয়েল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩হাজার ২৪৮ ভোট। বাংলাবাজার ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ আবুল হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৯হাজার ২১৭। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জসীম উদ্দিন মাস্টার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৪হাজার ১৫৯ ভোট। মান্নারগাঁও ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইজ্জত আলী ৪হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, অসিত কুমার দাশ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩হাজার ৬০২ ভোট। পান্ডারগাঁও ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে ৪হাজার ৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আবদুল ওয়াহিদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ওলিউর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩হাজার ৭৪৯ ভোট। নরসিংপুর ইউনিয়নে নুর উদ্দিন আহমদ নৌকা প্রতীকে ৪হাজার ৬৩৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি চশমা প্রতীকের সামছুল হক নমু পেয়েছেন ৪হাজার ৬১২ ভোট। এ উপজেলা ৫টি ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী, ৩টিতে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।