• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

এবার ধরলে ফাইনাল হয়ে যাবে, ভাস্কর্য বিরোধীদের যুবলীগ চেয়ারম্যানের হুঁশিয়ারি

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১, ২০২০
এবার ধরলে ফাইনাল হয়ে যাবে, ভাস্কর্য বিরোধীদের যুবলীগ চেয়ারম্যানের হুঁশিয়ারি

বিবি এন নিউজ ঢাকাঃ  ভাস্কর্য বিরোধীদের হুশিয়ারি দিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, এবার আর কোনও কম্প্রোমাইজ নয়। আমরা এবার যখন ধরব, ফাইনাল হয়ে যাবে। আমরা মাঠে আছি দেখে নেব তাদের। চোরের দশ দিন, গেরস্তের এক দিন।

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে এক মানববন্ধনে যুবলীগ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য সম্পর্কে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ এবং মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ ৬৪টি সংগঠনের যৌথ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় যুবলীগের এই মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ বলেন, কোথা থেকে টাকা আসছে, কী তাদের (মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি) অ্যাজেন্ডা—এসব ব্যাপারে প্রশাসনিক তদন্ত হওয়া উচিত। প্রশাসনের তদন্তের মাধ্যমে আসল ষড়যন্ত্রকারী ও তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করতে হবে এবং এই দেশের মাটিতেই তাদের শাস্তি দিতে হবে। তাদের একেবারে নির্মূল করে দিতে হবে। তারা যেন বারবার আমাদের স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-দেশপ্রেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবার যখন আমরা ধরব, ফাইনাল হয়ে যাবে। এবার আর কোনো কম্প্রোমাইজ (আপস) নয়। বাংলাদেশে একটা কুচক্রী মহল সৃষ্টি করে ফায়দা লোটা—এটা বারবার হবে না। এবারই আমরা এটা ফাইনাল করব। প্রশাসনকে আহ্বান করছি, তদন্তের মাধ্যমে এদের (মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি) চিহ্নিত করুন। আমরা মাঠে আছি দেখে নেব তাদের। চোরের দশ দিন, গেরস্তের এক দিন। আমরা এবার তাদের দেখে নেব।’ যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সজাগ ও সোচ্চার থাকবেন। আমরা এদের দমন করব, ইনশা আল্লাহ।

মানববন্ধনে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দীসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার কয়েক শ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। বেলা আড়াইটা থেকে চারটা পর্যন্ত এই মানববন্ধন হয়।