• ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ চত্বরকে ডা.হারিছ আলী চত্বর’ নামকরণের দাবিতে সাংসদ মানিকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত অক্টোবর ৫, ২০২০
ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ চত্বরকে ডা.হারিছ আলী চত্বর’ নামকরণের দাবিতে সাংসদ মানিকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, ছাতকঃ ছাতকের গোবিন্দগন্জ পয়েন্টের চত্বরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হারিছ আলী চত্বর’ নামকরণ করার জন্য মাননীয় সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে ।

ডা. হারিছ আলী স্মৃতি পরিষদ গোবিন্দগন্জ পয়েন্টের চত্বরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হারিছ আলী চত্বর’ নামকরণের দাবী পুনর্ব্যক্ত করেছে। এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে।এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।

এ আন্দোলনের অংশ হিশেবে আজ ডা. হারিছ আলী স্মৃতি পরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দ ছাতক-দোয়ারা আসনের মাননীয় সাংসদ জননেতা মুহিবুর রহমান মানিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা মাননীয় সাংসদের নিকট এ দাবি সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। এবং এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মাননীয় সাংসদের প্রতি আহবান জানান। স্মারকলিপিতে তারা ঊল্লেখ করেন, ডা. হারিছ আলী সারা জীবন সমস্ত ছাতক-দোয়ারার জনগণের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। ৫ নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিশেবে, রাজনীতিবিদ হিশেবে, চিকিৎসক হিশেবে ছাতক-দোয়ারার মানুষের জীবনে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করে গেছেন। ডা. হারিছ আলী এই গোবিন্দগন্জ পয়েন্টের জনতা, জননী ফার্মেসীসহ বিভিন্ন চেম্বারে বসে সমগ্র ছাতক-দোয়ারার জনগণের সেবা করিয়া গিয়াছেন।তাঁর রাজনীতিরও অন্যতম কেন্দ্র ছিল এই গোবিন্দগন্জ।ছাতক-দোয়ারার অন্যান্য হাট-বাজারের মতো গোবিন্দগন্জের মাটি ও মানুষের সাথেও তাঁহার অমর কর্ম এবং স্মৃতি মিশে আছে।

শুধু ছাতক দোয়ারা নয়, বৃহত্তর সিলেটের এবং জাতীয় রাজনীতিতে ডা. হারিছ আলীর অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। আশির দশকের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের সূচনায় বিলাতে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে ডা. হারিছ আলী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮০ সালের ১৬ আগস্ট লন্ডনের ইয়র্ক হলে অনুষ্ঠিত জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রথম রাজনৈতিক সভার অন্যতম প্রধান আয়োজক ছিলেন ডা. হারিছ আলী।
সর্বোপরি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১৪ সালে ডা. হারিছ আলীকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পদকে’ ভূষিত করে। ছাতক-দোয়ারার সর্বস্তরের মানুষও এই গৌরবের সমান অংশীদার। পরিষদের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ডা. হারিছ আলী সারা জীবন ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জীবনে বিপুল ত্যাগ স্বীকার করিয়া স্বজাতির মানুষ এবং নিজ দলের সেবা করিয়া গিয়াছেন। এবং ছাতক-দোয়ারার মুখ বৃহত্তর সিলেট তথা সমগ্র দেশে ঊজ্জল করিয়াছেন।

ঊপরি-ঊক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনা করে ডা. হারিছ আলী স্মৃতি পরিষদ গোবিন্দগন্জ পয়েন্টে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হারিছ আলী চত্বর’ নামকরণ বাস্তবায়নের আন্দোলন করে যাচ্ছে। দেশে-বিদেশে অবস্হানরত ছাতক-দোয়ারা তথা বৃহত্তর সিলেটের সর্বস্তরের অসংখ্য মানুষ এ আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন। এবং নানাভাবে যারা যার অবস্হান থেকে সহযোগিতা করছেন। এ সুযোগে পরিষদ তাদের সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।

মাননীয় সাংসদ জনাব মুহিবুর রহমান মানিক স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এবং মনোযোগসহকারে ডা. হারিছ আলী স্মৃতি পরিষদের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনেন। এজন্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ সাংসদ মহোদয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে অন্যান্যের মধ্যে ঊপস্হিত ছিলেন জাউয়া বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক সৈয়দুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম শাওন,যুবলীগনেতা  সুহেল আহমদ,প্রমুখ ।