• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট এম সি কলেজে ধর্ষণের গঠনায় আওয়ামীলীগ নেতা নাদেলের নিন্দা

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
সিলেট এম সি কলেজে ধর্ষণের গঠনায়  আওয়ামীলীগ নেতা নাদেলের নিন্দা

 

শফীউল আলম নাদেলের ফেইসবুক থেকে নেয়া। পাঠকের সুবিধার্থে হুবহু তুলে ধরা হলো।

শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রবাসে লোমহর্ষক ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। ন্যাক্কারজনক পাশবিক এই ঘটনায় আমি ক্ষুব্ধ ও ব্যাথিত। খুব কষ্ট লাগছে যে, এম সি কলেজের পবিত্র ক্যাম্পাসে আমরা শিক্ষার্থী ছিলাম, সেই কলেজে এমন নির্মম জঘন্যতম অপরাধ সংগঠিত হলো।
যে ছাত্রলীগের মাধ্যমে আমরা সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখতাম সেই ছাত্রলীগের নাম এই ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছে। এমন নিষ্ঠুর, নৃশংসতা কোনো শুভবোধসম্পন্ন মানুষ মেনে নিতে পারে না। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এমসি কলেজ বারবার কেনো অপরাধের জন্য শিরোনাম হচ্ছে। কারা এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাঙ্গনের আলোকিত ধারাকে কালিমা লেপন করছে তাও খোঁজা জরুরি। এম সি কলেজের ছাত্রাবাস পুড়িয়ে যারা উৎসব করেছিল তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে একই ছাত্রাবাসে এমন অপরাধ করার সাহস পেতোনা এই দুর্বৃত্তরা। অভ্যন্তরিণ কোন্দলে যারা নিজের সহকর্মীদের যারা বিভিন্ন সময় খুন করেছে। তাদের শাস্তি হলে এই অপরাধীরা এমন বিকৃত চিন্তাও করতে পারতো না। কলংকজনক এ ঘটনায় আমি লজ্জিত, মর্মাহত। অপরাধীদের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখার কোনো সুযোগ নেই। একটি বিষয় বোধগম্য হচ্ছে না, যেখানে কলেজের শ্রেণিকার্যক্রম বন্ধ। সেখানে গুটিকয়েক জনের জন্য ছাত্রাবাস খোলা থাকে কি করে? কলেজ প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারেন না। ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের মতো বর্বরোচিত এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এসব নিকৃষ্ঠ অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক ও প্রশ্রয়দানকারীদেরও খুঁজে বের করতে হবে। পূণ্যভূমি সিলেটের ললাটে এমন ঘৃণ্য কালিমা যারা লেপন করেছে তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা। এই পৈশাচিক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। জয় হোক সুন্দরের। জয় হোক মানবতার।