• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নোয়ারাই ইউনিয়ন পরিষদে, সৎ যোগ্য দক্ষ একজন চেয়ারম্যান চাই

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুন ৭, ২০২১
নোয়ারাই ইউনিয়ন পরিষদে, সৎ যোগ্য দক্ষ একজন চেয়ারম্যান চাই

আগামী ২১ শে জুন আমাদের নোয়ারাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সে হিসেবে নির্বাচনী প্রচারনা এখন তুঙ্গে। সবাই তাদের নিজস্ব প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালাচ্ছেন আর এটাই স্বাভাবিক।
গনতান্ত্রিক ব্যাবস্হায় যে কেউ প্রার্থী হতে পারে প্রচারনা চালাতে পারে এবং এটি তার সাংবিধানিক অধিকার।

কিন্তু আমাদের সংবিধান সমাজে নেতৃত্বের জন্য সৎ যোগ্য ও দক্ষ লোক নির্বাচিত করার কথা বলে। আপনি চাইলে কোন খারাপ লোক কে নির্বাচিত করতে পারেন না। এ অধিকার সংবিধান আপনাকে/ আমাকে দেয় নি। সুতরাং এ দিক থেকে বিবেচনা করলে ভালো লোক নির্বাচিত করার জন্যই নির্বাচন মন্দ লোক নয়।

কিন্তু বাস্তবে আমরা কি দেখি? এক শ্রেণীর অসৎ, অযোগ্য লোকেরা আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ডুকে পড়েছে। যদি তাই না হতো, তাহলে  ব্রীজ কিংবা কালভার্ট উদ্ভোধনের আগে ভেংগে পড়তো না। ব্যাংকের টাকা লুট হতো না, সরকার এবং জনগনের টাকা লুটপাট হতো না।
টাকা আর রাজনৈতিক ক্ষমতাধর, উচ্চবিলাসীদের কাছে দিনে দিনে সমাজে নেতৃত্ব দেবার জন্য যোগ্য লোক গুলি হারিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আমরা ভোটাররা বহুলাংশে দায়ী। আমরা আমাদের বিবেক কে সময় মতো কাজে লাগাই না। যার ফলসরুপ, আমরা পিছিয়ে পড়ি, বছরের পর বছর ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে সীমাহিন দুঃখ, কষ্টের সাথে সংগ্রাম করে  চলতে হয়।

সুরমা নদীর পাড়ে অবস্হিত আমাদের এই ইউনিয়নটির মুখ থুবড়ে পড়ে থাকার কথা নয়। কেন আজ আমাদের শুনতে হয় আমাদের এই ইউনিয়নটি অবহেলিত?  রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা?   এর দায়বার কার?  প্রয়োজন এখন আত্মসমালোচনার।

দেশের একমাত্র “ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরী ও লাফার্জ  সুরমা  ” এ দুটি সিমেন্ট কারখানা বুকে ধারন করে বহির বিশ্বে নোয়ারাই ইউনিয়ন মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে। যদি ও  এই ইউনিয়নের কিছু অংশ এখন ছাতক পৌরসভার অন্তরভুক্ত।

এ দুটি কারখানায় বাহিরের জেলার শত শত শ্রমিক কাজ করলে ও নিজ ইউনিয়নের শ্রমিকরা  আজ ও উপেক্ষিত। হাজার হাজার যুবক বেকার, তাদের কোন কাজ নাই, কর্মসংস্হান নাই। কিন্তু কেন?  কখন ও কি আমরা ভেবে দেখেছি?
একজন চেয়ারম্যানের শুধু সরকারের বরাদ্দকৃত চাল/ডাল বন্টন করা তার কাজ নয়। একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মানে তার অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে। বিশেষ করে গ্রামের বেকার, কর্মহীন মানুষদের কর্মসংস্হানের ব্যবস্হা করা একজন চেয়ারম্যানের অন্যতম মানবিক ও সামাজিক দায়িত্ব।
আমাদের ইউনিয়নের সেবা/কার্যক্রম কিভাবে চলছে তা ইউনিয়নের নিজস্ব অফিস ভবনের দিকে তাকালে পুরো চিত্র ফুটে উটে।
সঠিক নেতৃত্ব নেই বলে জনাকীর্ণ সেই পুরাতন “ইউনিয়ন  অফিসে” আজ অবদি কার্যক্রম চলছে।
সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে নতুন একটি  ইউনিয়ন ভবন তৈরী হলে ও দুর্ভাগ্য জনক ভাবে সেই অফিসে আজ ও অবদি তালা। রেমিট্যান্স যোদ্ধা, লন্ডন প্রবাসী জনাব আশক আলী ১৮ বছর আগে নতুন এই ভবনের জন্য জমি দান করলে ও আজ পর্যন্ত নতুন এই ভবনে ইউনিয়ন অফিসের কার্যক্রম শুরু হয় নি?  ভবিষ্যতে কবে শুরু হবে তা ও কেউ জানেন না। এর থেকে বুঝা যায় সঠিক নেতৃত্বের চরম সংকট চলছে আমাদের ইউনিয়নে।

পারস্পরিক ধন্দ, হিংসা বিদ্বেষ, আর দলাদলীতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের ইউনিয়নের সামগ্রিক  অগ্রযাত্রা। অতীতে যারা নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন তারা কেউ জবাবদিহিতার বাহিরে নয় বরং তারা জনগনের কাছে শতভাগ দায়বদ্ধ। আমি বিস্বাস করি, তারা তাদের জায়গা থেকে ইউনিয়নের উন্নয়নে সাদ্যমত চেষ্টা করেছেন কিন্তু সামগ্রিক বিচারে তা অপ্রতুল, ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী.. ….চলবে। আলী মুহাম্মদ সমুজ, লেখক ও কলামিস্ট।