নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী জাদুকাটার পাড় কেটে অবৈধভাবে কোয়ারীর করে পাথর উত্তোলনের সময় কোয়ারীর মাটি চাপা পারে আজহারুল ইসলাম(৩০) নামের এক যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ (১৬ জানুয়ারি রবিবার) বিকাল সাড়ে ৩ টার সময় উপজেলার উত্তর বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া এলাকার বড়টেক পাকা রাস্তার -শিমুল বাগান নামক এলাকার জাদুকাটা নদীর পাড়। নিহত যুবক ঘাগটিয়া গ্রামের নুর সালামের ছেলে। এবং সে অবৈধ বালু-পাথর কোয়ারীর গডফাদা ক্যাফাজুলের আপন ছোট ভাই।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, জাদুকাটা নদীতে পাথর উত্তোলনে সরকারি বিধিনিষেধ থাকা শর্তেও ঘাগটিয়া গ্রামের নুর সালামের ছেলে ক্যাপাজুলসহ ১০/১২ জনের একটি পাথর খেকো সিন্ডিকেট চক্রের নেতৃত্বে গত একমাস ধরে একটি পাথর খেকো সিন্ডিকেট চক্র জাদুকাটা নদীর পাকা রাস্তার মাথা এলাকায় নদীর পাড় কেটে প্রায় ১০/১২ টি অবৈধভাবে পাথর কোয়ারী করে পাথর উত্তোলন করে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন মতো আজ রবিবার সকাল থেকে শতাধিক শ্রমিক ওই সব অবৈধ পাথর কেয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন করে আসছে। পরে বিকাল সাড়ে ৩ টার শ্রমিকরা পাথর উত্তোলনের সময় হঠাৎ করেই পাথর কোয়ারীর পাড় ভেঙে কোয়ারীতে পাথর উত্তোলনের কাজে থাকা শ্রমিক আজহারুল ইসলাম উপর পড়লে এসময় মাটি নিচে চাপা পাড়ে যায় শ্রমিক আজহারুল । এ সময় ওই কোয়ারীতে থাকা অন্য শ্রমিকদের ডাক চিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন ও নদীতে কাজ করতে আসা বারকী শ্রমিকরা মাটির নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাদাঘাট বাজারের লাইফ কেয়ার ডায়গনিস্টিক সেন্টার নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার থাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ ঘাগটিয়া গ্রামের নুর সালামের ছেলে ক্যাফাজুল ওইসব অবৈধ বালু-পাথর কেয়ারী থেকে পাথর বোঝাই প্রতি বারকী নৌকা ২০০ টাকা ও প্রতি কোতগারী থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা চাদা নিয়ে সরকার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখি জাদুকাটা নদীর পাড় কেটে কেয়ারী করে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করে আসে দীর্ঘদিন ধরে।
এ ব্যাপারে ওসির দায়িত্বে থাকা তাহিরপুর থানার এসআই হক্কানি বলেন, খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি এস আই জয়নাল আবেদীনকে ঘটনার স্থল পাঠিয়েছি। অবৈধ বালু-পাথর কেয়ারীর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।