• ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

লন্ডনে কেয়ার ওয়ার্কার সংকট, টিকা দেয়নি অনেক কর্মী

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত নভেম্বর ১২, ২০২১
লন্ডনে কেয়ার ওয়ার্কার সংকট, টিকা দেয়নি অনেক কর্মী

বিবিএন ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের মধ্যে লন্ডনে সব থেকে কম কেয়ার ওয়ার্কার টিকা দিয়েছে। এদিকে টিকা না দেওয়ার কোল্ড ফিল্ড এলাকায় চাকরি গেলো ছয় কেয়ার হোম কর্মীর।

আপনারা জানেন, যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ ফ্রন্ট লাইনের সকল কর্মীকে আগামী পয়লা এপ্রিলের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে কোভিডের পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণ করার নির্দেশনা দিলেও কেয়ার হোম কর্মীদের জন্য এই সময়সীমা শেষ হয়েছে চলতি সপ্তাহের বুধবার। তাই বৃহস্পতিবার থেকে কেয়ার হোম কর্মীদের জন্য নো-জ্যাব, নো-জব, অর্থাৎ কোভিডের টিকা না নিলে চাকরিও থাকবেনা নীতিতে চলে গিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ ।

এদিকে সারা দেশের মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণ না-করা সর্বোচ্চ সংখ্যক কেয়ার হোম কর্মীর বসবাস লন্ডনে। ফলে নো-জ্যাব, নো-জব নীতি কার্যকর হলে লন্ডনে কেয়ার হোম কর্মীর সংকট সৃষ্টি হবে বলে আশংকা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

গত ১০ মাস আগে একটি কেয়ার হোমের ম্যানেজার জনাথন বিছাম আশংকা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ভ্যাকসিন গ্রহণ না করার কারণে তাঁকে ২৫ শতাংশ কর্মী হারাতে হবে। কিন্তু গত কয়েক মাস যাবত সরকারের গৃহীত নো-জ্যাব, নো-জব নীতির কারণে পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন দেখা যায়। কিছু কর্মী চাকুরী ছেরে চলে গেলও অধিকাংশ কর্মী ভ্যাকসিন গ্রহণ করে চাকুরীতে থেকে যান।

ভ্যাকসিন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার আগে কেয়ার সেক্টরে ১ লাখ পদ শূন্যও ছিল। ন্যাশনাল কেয়ার এসোসিয়েশনের আনুমানিক হিসেবে এখন সেই সংখ্যা আরও ৪০ হাজার বেড়েছে। কারণ এই চাকুরী ছেড়ে চলে যাচ্ছে কর্মীরা।

সরকার বলছে, ভ্যাকসিন জীবন রক্ষা করে। ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জীবন রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। সরকারি তথ্য অনুযায়ী কেয়ার হোমের ৯০ শতাংশ কর্মী উভয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।

এদিকে গতবুধবার টিকা দেওয়ার  সময়সীমা শেষ হতেই অনেক কেয়ার হোম প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের ছাটাই করতে বাধ্য হচ্ছেন।

কেয়ার ওয়ার্কের দায়িত্ব প্রাপ্তরা বলছেন, যেভাবে কর্মী সংকট তৈরি হচ্ছে তাতে আগামী কমেক মাসের মধ্যে বয়স্কদের দেখা শুনা করার জন্য পর্যাপ্ত কর্মী পাওয়া যাবে না। যাতে করে দেশে নতুন সংকটের তৈরি হতে পারে।