ছাতক প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি অনার্স কলেজ ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার কলেজ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সাবেক এমপি মিলন গ্রুপ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজান চৌধুরীর গ্রুপের মধ্যে এঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আব্দুল হক স্মৃতি অনার্স কলেজ ক্যাম্পাসে জেলা বিএনপির আহবায়ক, সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন গ্রুপের উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহাবুব আহমদ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ইমন হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ ফয়সাল, উপজেলা ছাত্রদল নেতা জয়নাল আবেদীন এবং জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য, ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী গ্রুপের উপজেলা যুবদল নেতা ইমাম উদ্দিন, রাজন মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সদস্য আমির আলীর মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আব্দুল হক স্মৃতি অনার্স কলেজ এলাকায় ও গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় উপতপ্ত পরিস্থিতি দেখে ব্যবসায়ীরা দোকান কোঠা বন্ধ করতে থাকেন। পরিস্থিতি দেখে পথচারীরা দিক বেদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। গোবিন্দগঞ্জ ছাতক, সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কে জ্যামে আটকা পড়েন যানবাহনের যাত্রীরা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দল ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। এসময় উভয় পক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। এ ঘটনায় ছাত্রদলের দু’গ্রুপের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, যুগ্ম আহবায়কসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এব্যাপারে মিজান গ্রুপের সাবেক ছাত্রদল নেতা ফয়সল আহমেদ সুমন বলেন, ছাত্রলীগ কর্মী জয়নালকে নিয়ে ফেইসবুকে লেখালেখির ঘটনায় ছাত্রদলের কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে সাবেক এমপি মিলন গ্রুপের উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মাহবুর আলম বলেন, মিজান গ্রুপের ছাত্রদল নামধারি অছাত্ররা কলেজ ছাত্রদল কর্মী আমাদের ভাইদের উপর দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে।
এব্যাপারে জয়নাল আবেদীন বলেন, সে কখনো আওয়ামী সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো না। জুলাই আগষ্টের গনঅভ্যুত্থানে গোবিন্দগঞ্জসহ ছাতকে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি এবং হামলার স্বীকার হয়েছি। আন্দোলনের স্থির চিত্র বা ভিডিও ফুটেজ দেখলে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং গোবিন্দগঞ্জবাসী অবগত রয়েছেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, ঘটনার খবর শুনেই পুলিশ সদস্য পাটিয়েছি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এরপরও
আমাদের নজরদারি অব্যাহত আছে এবং থাকবে।