সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার চাঁনপুর সীমান্তের পর্যটন স্পষ্ট বারিক্কার টিলা (রারেক টিলা) এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই পথে আনা ভারতীয় ১৭ বস্তা ফুচকা ও চিনি আটকের পর চোরাকারবারিরা বিজিবির উপর হামলা ও মারধর করে আটককৃত ফুচকা ও চিনির বস্তা ছিনতাইয়ের ঘটেছে। বিজিবির অভিযানে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা ১৭ বস্তা ভারতীয় ফুচকা ও চিনির আটক করলেও চোরাকারবারিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজিবির উপর হামলা ও মারধর করে অভিযানে থাকা ৮ বিজিবি সদস্যকে গুরুতর আহত করে আটককৃত ১৪ বস্তা ফুচকা ও চিনি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় চোরাকারবারিরা বিজিবির হাতে থাকা অস্ত্র চিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ মে শুক্রবার রাত ৮ টার সময় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১২০৩/ এমপি এলাকার চাঁদপুর সীমান্তের পর্যটন স্পষ্ট বারিক্কার টিলায়।
চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত হইতে শুদ্ধ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় ফুসকা ও চিনি আনয়ন করতঃ নিজ হেফাজতে রাখা এবং বে-আইনী জনতাবন্ধে মিলিত হইয়া কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যদের সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান, আক্রমণ ও বল প্রয়োগের মাধ্যমে আঘাত করিয়া সাধারণ ও গুরুতর জখম করার অপরাধে গতকাল (৩ মে শনিবার) রাতে সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধীনস্থ লাউড়েরগড় সীমান্ত ফাঁড়ির সুবেদার মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাত রেখে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৭।
সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি অধিনায়ক লে কর্ণেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, চোরাকাবারিদের প্রতিহত করতে গিয়ে প্রায়ই বিজিবির সদস্যরা হামলার শিকার হন। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সীমান্ত এলাকার টহল জোরদার ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে বিজিবির সদস্য গণ সতর্ক রয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হাফিজুল ইসলাম বলেন, আসামেদের গ্রেফতার পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং মামলা দায়ের পর থেকে আসামের বাড়ি ছাড়া রয়েছে।