• ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কক্সবাজারে ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা ১০ মরদেহের পরিচয় মিলেছে

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত এপ্রিল ২৪, ২০২৩
কক্সবাজারে ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা ১০ মরদেহের পরিচয় মিলেছে

বিবিএন ডেস্ক: কক্সবাজার উপকূলে ভেসে আসা একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নাজিরারটেক পয়েন্টে ট্রলারটি ভেসে আসে।

বঙ্গোপসাগরে নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ভেসে থাকা সেই ট্রলার থেকে অর্ধগলিত হাত পা মুখ বাধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ১০ জেলের পরিচয় জানা গেছে।

রোববার (২৩ এপ্রিল) বেলা ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে ফায়ার-সার্ভিস ও সদর থানা পুলিশ। নিহত সবাই মহেশখালী ও চকরিয়ার বাসিন্দা। আর ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের বাসিন্দা সামশুল আলম। তার মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে ট্রলার থেকে।

এদিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে হাশেম বানু নামে এ্ক নারী তার ভাইকে মৃত দেখে কান্নায় আহাজারী করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে অজ্ঞান হয়। এসময় তাকে হাসপাতালে ভিতর নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করার পর জানা গেল। তার দাবী, হাসপাতালের মর্গে তার ভাইকে তিনি সনাক্ত করতে পেরেছেন। তার ভাইয়ের নাম শামসুল আলম। এর পর একে একে স্বজনরা নিহতের বিভিন্ন ভাবে সনাক্ত করেন। রোববার কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরের নাজিরাটেক পয়েন্টে সাগরে ভাসমান মাছ ধরার ট্টলার থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের একজন শাসমুল। হাশেম বানুর দাবী, তার ভাইকে পরনের কাপড় দেখে তিনি সনাক্ত করেন।

এসময় মর্গে এলকায় নিহতদের সনাক্ত হওয়ায়র পর কান্নার রোল পড়ে। কি এক হৃদয় বিধারক পরিবেশ সৃষ্টি হয় এসময়। স্বজনদের দাবী, উদ্ধার হওয়া ট্রলারটির মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার মোহাম্মদ রফিকের ছেলে শামসুল আলমের। গত ৭ এপ্রিল তার ট্রলারে মাঝিমাল্লা নিয়ে তিনি সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু কয়েকদিন তাদের কোন সংবাদ না পাওয়ায় নিহত স্বজনরা নাকি উৎগ্রীব ছিলেন। এসময় থেকেই নিখোঁজ হন তারা।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়ার রফিক মিয়ার ছেলে সামশুল আলম (২৩), শাপলাপুর ইউনিয়নের মিটাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), জাফর আলমের ছেলে সওকত উল্লাহ (১৮), মুসা আলীর ছেলে ওসমাণ গনি (১৭), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪), মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে নুরুল কবির (২৮), চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪), শাহ আলমের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) ও চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা এলাকার জসিম উদ্দীনের ছেলে তারেক জিয়া (২৫)।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো রফিকুল ইসলাম জানান, ইতি মধ্যে নিহতদের ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার একাধি টিম ঘটনা ক্লু জানার জন্য মাঠে কাজ করছে বলে জানান তিনি।