• ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ছাতকে ভুমিখেঁকোরা দখলের উদ্দেশ্যে মুসাফির খানার দ্বিতীয়তলা ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় তোলপাড়!

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জানুয়ারি ৯, ২০২৩
ছাতকে ভুমিখেঁকোরা দখলের উদ্দেশ্যে মুসাফির খানার দ্বিতীয়তলা ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় তোলপাড়!

ছাতক প্রতিনিধি:ছাতকে ভুমিখেঁকোরা দখলের উদ্দেশ্যে দ্বিতল মুসাফির খানার দ্বিতীয় তলা ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় তোলপাড় চলছে।

৭৫ বছর আগে নির্মিত ছস্তকের ঐতিহ্যবাহী দ্বিতল মোহাম্মদিয়া মুসাফির খানা ও পাঞ্জেগানা মসজিদের উপরতলা ভেঙ্গে দিয়েছে একটি ভুমিখেঁকো চক্র। তারা মুসাফির খানার ভুমি দখলে নিয়ে একটি বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ করতে চায়।এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। মুসাফির খানা ভবনটি নির্মাণ করে ছিলেন শিমুলতলা-মুক্তিরগাঁও গ্রামের দানশীল ব্যক্তিত্ব দেওয়ান আলম রাজা চৌধুরীর পুত্র হাজী দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী এবং ওই গ্রামের মৌলভী মুজেফফর আলী।১৯৪৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বাগবাড়ি মৌজার ৮৬৯/৮৮০ দাগের ০.০২৫০ একর ভুমি বাগবাড়ি গ্রামের হাজী ওসমান মিয়ার স্ত্রী সুরতুন নেছা মুসাফির খানা কমিটির নামে ৪১৭২ দলিল মুলে ওয়াকফ করে দেন।
তার নিজ নামীয় ভুমি ওয়াকফ করে দেয়ার এতো বছর পর তার ওয়ারিশ ইকবাল হোসেন, মিজান মিয়ারা ওই ভুমিতে বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণের লক্ষে অতি পুরানো মোহাম্মদিয়া মুসাফির খানা ও পাঞ্জেগানা মসজিদের একতলা ভেঙ্গে দিয়েছে। মুসাফির খানা ভবন ভেঙ্গে দেয়ায় আদালতে ২ টি মামলা দায়ের করেছেন মরহুম হাজী দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরীর পুত্র দেওয়ান আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী।

মামলার প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জের সহকারী জজ আদালত ভুমিতে স্থিতাবস্থা জারি করেন। এরপর ও বিভিন্ন কৌশলে ভুমি দখল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে ইকবাল হোসেনরা। মোহাম্মদিয়া মুসাফির খানা ছাতকের একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। রবিবার ছাতক শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন, দেওয়ান আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী। তিনি বলেন, ভুমিখেকো চক্রের ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের আখড়ার ভুমিও দখলের অভিযোগ রয়েছে। জমি দখলের মামলায় সে জেল হাজতে ও ছিলো। সংবাদ সন্মেলনে বক্তব্য রাখেন কালারুকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল হক,হাজী আশিদ আলী। এ সময় জমির উদ্দিন,হানিফ আলী,আরশ আলী,ফখর উদ্দিন স্বপন,দৌলত মিয়া, শেখ সেলিম আরাফাত, হাজী মনির আলী,আশরাফুল আলম,হানিফ আলী,শৈলেন দাস,কবির আহমদ, বাবুল মিয়া,এছকান আলী, সিরাজ মিয়া,ইলিয়াছ মিয়া,আব্দুন নুর, নুরুল ইসলাম,কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, আশরাফ চৌধুরী,সাব্বির হোসেন,জিল্লু মিয়াসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন ।