• ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সুনামগঞ্জে আদালতে এসে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি,আটক তিন ব্যক্তি

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত জুলাই ২১, ২০২২
সুনামগঞ্জে আদালতে এসে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি,আটক তিন ব্যক্তি

 লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গণে মামলার হাজিরা দিতে এসে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে প্রান হারান এক ব্যক্তি।

 জানা যায়,   সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গলাখাল গ্রামে বসতভিটার জায়গা নিয়ে দু”পক্ষের মামলা মোকদ্দমার জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খোকন মিয়া ( ৫৫)নিহত হয়েছেন।  তিনি গলাখাল গ্রামের হাজী ফটিক মিয়ার ছেলে।
২১  জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে  আদালত এলাকা প্রাঙ্গণে  এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে তাৎক্ষণিক আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীরা।
আটককৃতরা  হলেন, গলাখাল গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ফয়েজ আহমদ, আফরোজ মিয়ার ছেলে সাজিদ মিয়া ও সেবুল মিয়া। ঘটনায় জড়িত সাহান নামের অপর এক যুবককে পুলিশ পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গলাখাল গ্রামের নিহত খোকন মিয়ার সাথে  খুনের ঘটনায় জড়িত চার ব্যক্তির জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। বৃহস্পতিবার নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজিরা দিতে আসলে দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে আইনজীবী সমিতির সামনে খোকন মিয়ার সাথে প্রতিপক্ষের  ফয়েজ, সাজিদ, সাহান ও সেবুল এর কথা কাটাকাটি হয় ।এক পর্যায়ে  খোকন মিয়াকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এ সময়  উপস্থিত জনতা, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা এগিয়ে এসে ফয়েজ, সাজিদ ও সেবুলকে ধরে আইনজীবী সমিতিতে আটকে রাখেন। সাহান নামের অপর একজন পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হয়। তাকে আদালত এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যদের জিম্মায় দিলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। আটক তিনজনকে চাকুসহ পুলিশে সোপর্দ করেছেন আইনজীবীরা। এদিকে, ছুরিকাঘাতে আহত খোকন মিয়াকে আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে   তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. রফিকুল ইসলাম চুরিকাঘাতে আহত খোকন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
, ঘটনার পর পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাঈদ। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আটককৃত দের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার কারণ জেনে আইনানুগব্যবস্থা নেয়া হবে। । এছাড়া এই ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্তৃক দায়িত্ব পালনে অবহেলার  প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে বলও জানান।