• ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

হারিছার পড়ার দায়িত্ব নিল বসুন্ধরা গ্রুপ

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত এপ্রিল ১১, ২০২২
হারিছার পড়ার দায়িত্ব নিল বসুন্ধরা গ্রুপ

 

বিবিএন ডেস্ক: রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া বরিশালের বানারীপাড়া পৌরশহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দরিদ্র রিকশাচালক মিজানুর রহমানের মেধাবী কন্যা সাদিয়া আফরিন হারিছার লেখাপড়ার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছে দেশের শীর্ষ শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ। মেডিকেল কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে পাঁচ বছরের এমবিবিএস কোর্স করার খরচ বহন করবেন তাঁরা। এ ছাড়া হারিছার অন্য তিন মেধাবী বোনের লেখাপড়ার খরচও বহন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা। এতে খুশি হারিছা ও তার পরিবার।

হারিছা বলেন, ‘কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন স্যার ফোন দিয়েছিলেন। বসুন্ধরা গ্রুপ আমিসহ চার বোনের লেখাপড়ার খরচ এবং বাবা-মায়ের দায়িত্ব নেবে বলে আমাকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। ’ বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন মুঠোফোনে বলেন, ‘মেধাবী ওই মেয়েটির দরিদ্রতার বিষয়টি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি ওই মেয়েটির মেডিকেল কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে পাঁচ বছরের এমবিবিএস কোর্স করতে মাসে মাসে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

’ এ ছাড়া তার অন্য তিন বোনের লেখাপড়ার দায়িত্বও বসুন্ধরা গ্রুপ নিয়েছে বলে তিনি জানান। ১ এপ্রিল দেশব্যাপী ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ৪৯ হাজার শিক্ষার্থী। ৫ এপ্রিল প্রকাশিত ফলে ৪ হাজার ৩৫০ জন উত্তীর্ণ হন। মেধা তালিকায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান বানারীপাড়া পৌরশহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দরিদ্র পরিবারের সন্তান সাদিয়া আফরিন হারিছা।
রিকশাচালক বাবার আয়ে সংসারের ব্যয় নির্বাহের পাশাপাশি হারিছাসহ চার বোনের লেখাপড়ার খরচ চলে। এ অবস্থায় হারিছা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় বাড়তি চাপে পড়ে তার পরিবার। মেডিকেল কলেজে ভর্তির অর্থ এবং আনুষঙ্গিক খরচ চালানোর সামর্থ্য নেই তার পরিবারের। এ খবর গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের দৃষ্টিগোচর হয়। এদিকে গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসন থেকে ফোন দিয়ে হারিছাকে আর্থিক ও সার্বিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
আজ (রবিবার) বরিশাল সরকারি শিশু পরিবারে ইফতার মাহফিলে হারিছা ও তার বাবা-মাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেখানে তাকে নগদ ২০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার।
স্কুল ও কলেজ জীবনে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন হারিছা। তার বড় বোন সরকারি বিএম কলেজে স্নাতকোত্তর, মেজ বোন বানারীপাড়ার একটি কলেজে স্নাতক এবং ছোট বোন স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন। তাদের মা গৃহিণী। পৌরশহরে পৈতৃক ভিটায় থাকলেও বাবার রিকশা চালানোর আয়েই চলে চার বোনের লেখাপড়া ও সংসারের সব খরচ।