• ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

কারাগারের পরিবর্তে সংশোধনের জন্য ৫০টি মামলায় ৭০ জন আসামীকে মুক্ত করে দিলেন বিচারক

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত অক্টোবর ১৩, ২০২১
কারাগারের পরিবর্তে সংশোধনের জন্য ৫০টি মামলায় ৭০ জন আসামীকে মুক্ত করে দিলেন বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জে ৫০টি মামলায় ৭০জন শিশুকে সংশোধনের জন্য কারাগারের পরিবর্তে ফুল দিয়ে বরণ করে বাবা-মায়ের জিম্মায় দিলেন নারী ও শিশু আদালত।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১২টায় এ রায় দেন সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু আদালেতের সরকারি কৌশলী(পিপি) নান্টু রায়।

আদালত সুত্রে জানা যায়, কোমলমতি শিশুদেরকে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছিল। শিশুদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদেরকে মুক্তি দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিতে বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জের এসব শিশুদের জন্য লঘু অপরাধের ৫০টি মামলায় ৭০জন শিশুকে সংশোধনের সুযোগ দিয়ে কারাগারের পরিবর্তে ফুল দিয়ে বরণ করে বাবা-মায়ের জিম্মায় ব্যতিক্রমী রায় দিলেন বিচারক।

ক্ষুদ্র একটি অভিযোগে শিশুদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা নিয়ে আদালতে হাজিরা দিতে হত। এসব অসুবিধা থেকে মুক্তি দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে কারাগারের পরিবর্তে পরিবারের সদস্যদের সাথে রেখে সংশোধনের জন্য বাবা-মায়ের জিম্মায় পাঠালো আদালত। পরিবারের সান্নিধ্যে এসব শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠতে পারবে। এজন্য ছয়টি শর্তে মামলাগুলো নিষ্পতি করেন।

শর্তগুলো হলো প্রতিদিন দুইটি করে ভালো কাজ করা এবং তা তাদেরকে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডায়রীতে লিখে রাখা ও বছর শেষে ডায়রী আদালতে জমা দেওয়া। বাবা-মাসহ গুরুজনদের আদেশ নির্দেশ মেনে চলা এবং বাবা-মায়ের সেবা যত্ন করা ও কাজে কর্মে তাদের সাহায্য করা। নিয়িমিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা এবং ধর্মকর্ম পালন করা। অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা। মাদক থেকে দূরে থাকা। ভবিষ্যতে কোন অপরাধের সাথে নিজেকে না জড়ানো।
আদালতের পক্ষ থেকে এসব শর্ত প্রতিপালন হচ্ছে কিনা তা আগামী একবছর প্রবেশন কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ শফিউর রহমান পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রতি তিন মাস পর পর আদালতকে অবহিত করবেন।