• ১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিমের ইন্তেকাল

bilatbanglanews.com
প্রকাশিত মে ৫, ২০২১
সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিমের ইন্তেকাল

বিবিএন নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম ইন্তেকাল করেছেন।

বুধবার (৫ মে) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিলেট মাউন্ড এডোরা হসপিটালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বিএনপির পরিক্ষিত ত্যাগী নেতা ছিলেন দিলদার হোসেন সেলিম। ডাক্তার বাবার সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকেই  রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। সেলিমের জন্ম ১৯৪৯ সালে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার রাধানগর গ্রামে ডাক্তার ইদ্রিস আলী ও মা আখলাকুন নেছার ঘরে।

দিলদার হোসেন সেলিম একজন সফল ছাত্রনেতা থেকে সংসদ সদস্য পর্যন্ত হয়ে ছিলেন আপন মহিমায়।

সিলেট এম সি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (তৎকালীন এম সি কলেজ) ছাত্র সংসদের নির্বাচিত স্বাধীনতার পূর্বে জি এস এবং স্বাধীনতার পরে ভিপি। কিছুদিন সুনামগঞ্জেও লেখাপড়া করেছেন। ক্রীড়া জগতেও তিনি ছিলেন সমহিমায় উজ্জ্বল। সিলেট মহকুমা ক্রিড়া সংস্থার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক(৩ বার) ছিলেন।

এছাড়াও সিলেট জেলা রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট এর নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (৩ বার) ছিলেন।

অপরদিকে, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান হিসেবে তিনি প্রথম জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ) থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিএনপি থেকে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বিএনপির’ জাতীয় নির্বাহী কমিটির  সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্যক্তি জীবনে স্ত্রী অ্যাডভোকেট জেবুন্নাহারের সঙ্গে সেলিমের ছিলো সুখের সংসার। তার এক ছেলে দুই মেয়ে। তারা উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে  আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সেলিমের পিতা মরহুম ডাক্তার ইদ্রিস আলী চৌধুরী ব্রিটিশ আমলে আলিগড় ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। সার্জারিতে সেলিমের বাবা গোল্ড মেডেলিস্ট ছিলেন।

সেলিমের দাদার বাড়ি বিশ্বনাথ কামিল নগর দেওকলস ইউনিয়নে। বাবা মরহুম ডাক্তার ইদ্রিস আলী চৌধুরী  ব্রিটিশ সরকারের চাকরিসূত্রে জাফলং চা বাগানে (হাসপাতালে) কর্মজীবন শুরু করেন। ডাক্তারি পেশার সুবাধে এলাকার মানুষের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যার কারণে চাকরি জীবন পরেও তিনি রাধানগরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

সেলিমের বাবার পৈতৃক বাড়ি সিলেট নগরীর লামাবাজার। শৈশব-কৈশোর জাফলংয়ের রাধানগরে বেড়ে উঠার কারণে এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেলিমের। সে দিলদার হোসেন সেলিম বার বার হতে পেরেছেন জনপ্রতিনিধি।

দিলদার হোসেন সেলিম দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিস-সহ নানা রোগে ভোগছিলেন। সম্প্রতি চিকিৎসা শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন। মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাঁকে সিলেট মাউন্ড এডোরা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।